Friday 16 May 2025




সর্বশেষ













অবৈধভাবে পাচার হওয়া উট উদ্ধার কোচবিহারে, তদন্তে পুলিশ।

উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: অবৈধ পশু পাচার রুখতে বড়সড় সাফল্য কোচবিহার জেলা পুলিশের। কোতোয়ালি থানা এবং টাপুরহাট ক্যাম্প টিম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়ামারির ছোট আঠারোকোঠা এলাকায় পাঁচটি উট উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোকসেদুল হকের ভাই আমিকুল হকের বাড়ির পিছনের দুটি পৃথক স্থানে এই উটগুলি গোপনে রাখা ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার টিম অভিযান চালিয়ে পশুগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই উটগুলি অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা। ইতিমধ্যেই পাঁচটি উট উদ্ধার করা হয়েছে এবং পুরো ঘটনাটি ঘিরে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। পুলিশ এই ধরনের পাচারচক্রকে নির্মূল করতে আরও তৎপর বলে জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় পশু পাচারের মতো কাজ আগেও ঘটেছে, তবে উট পাচারের ঘটনা অত্যন্ত বিরল, যা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Friday

অবৈধভাবে পাচার হওয়া উট উদ্ধার কোচবিহারে, তদন্তে পুলিশ।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: অবৈধ পশু পাচার রুখতে বড়সড় সাফল্য কোচবিহার জেলা পুলিশের। কোতোয়ালি থানা এবং টাপুরহাট ক্যাম্প টিম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়ামারির ছোট আঠারোকোঠা এলাকায় পাঁচটি উট উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোকসেদুল হকের ভাই আমিকুল হকের বাড়ির পিছনের দুটি পৃথক স্থানে এই উটগুলি গোপনে রাখা ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার টিম অভিযান চালিয়ে পশুগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই উটগুলি অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা। ইতিমধ্যেই পাঁচটি উট উদ্ধার করা হয়েছে এবং পুরো ঘটনাটি ঘিরে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। পুলিশ এই ধরনের পাচারচক্রকে নির্মূল করতে আরও তৎপর বলে জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় পশু পাচারের মতো কাজ আগেও ঘটেছে, তবে উট পাচারের ঘটনা অত্যন্ত বিরল, যা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

2025-05-16

নিশিগঞ্জে গ্রেপ্তার এক যুবক, উদ্ধার দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলি।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: কোচবিহার জেলার নিশিগঞ্জ থানা এলাকার রুনিবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি তাজা গুলিসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রাজীব দাস। বয়স ২৩ বছর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান এবং একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রটি কোথা থেকে এসেছে এবং তার ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। ঘটনার পর রাজীব দাসের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রের উৎস ও সম্ভাব্য অপরাধমূলক চক্রের সঙ্গে ধৃতের যোগাযোগ ছিল কিনা, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের নজরদারি ও তল্লাশি অভিযান নিয়মিত চালু রয়েছে। সমাজে সুরক্ষা বজায় রাখতে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর।" এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

2025-05-16

লাইসেন্স ছাড়াই দেশি মদ বহন, গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: কোচবিহারের বাজেজামা সেওড়াগুড়ি এলাকায় বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই দেশি মদ পরিবহনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযুক্তের নাম বিশ্বনাথ ঘোষ (৪২)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ ঘোষের কাছ থেকে হ্যাপি গোল্ড ব্র্যান্ডের মোট ৬০ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে, যা ৬০০ মিলি ধারণক্ষমতার তিনটি কার্টুনে রাখা ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মদের কোনো বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। ঘটনাস্থল থেকেই বিশ্বনাথ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয় এবং আবগারি আইনের অধীন যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং এর উৎস ও সম্ভাব্য পাচার চক্রের সন্ধানে তদন্ত চলছে। জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, “অবৈধ মদ পরিবহন ও বিক্রয় রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে কেউ আইনের বাইরে কিছু করার চেষ্টা করলে, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ ছিল, এবং এই ধরপাকড়ে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।

2025-05-16

উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি বগিতে গাঁজাভর্তি ট্রলি! বামনহাট স্টেশনে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল চোরাকারবারীরা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: বামনহাট রেলওয়ে স্টেশনে গাঁজা পাচারের গোপন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল জিআরপি। আজ সকালে নির্দিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে স্টেশনের কাছে একটি নাকা চেকিং চালু করা হয়। তবুও চোরাকারবারীরা কৌশলে রেললাইন পার হয়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি বগিতে প্রবেশ করে এবং দুটি ট্রলি ব্যাগ রেখে চম্পট দেয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিষয়টি দ্রুত জানানো হয় বাসমানহাট আরএস জিআরপি ইনচার্জ এসআই নিখিল ডাকুয়াকে। এরপর এসডিপিও দিনহাটা ধীমান মিত্র-র উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি বগি B1 থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি সন্দেহভাজন ট্রলি ব্যাগ। পরবর্তীতে ব্যাগদ্বয় খোলার পর দেখা যায়, তার ভেতরে গাঁজা ভর্তি রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ দুটি জিআরপি হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনার পর গোটা বগিতে তল্লাশি চালানো হলেও কোনও সন্দেহভাজনকে আটক করা যায়নি। পুলিশের অনুমান, অভিযানের খবর পেয়ে পাচারকারীরা আগেভাগেই ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিআরপি সূত্রে জানানো হয়েছে, "এটি সুসংগঠিত চক্রের কাজ হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রলি ব্যাগগুলির উৎস ও সংশ্লিষ্টদের খোঁজে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।" স্থানীয় রেলস্টেশনে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

2025-05-16

দিনহাটা

লাইসেন্স ছাড়াই দেশি মদ বহন, গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: কোচবিহারের বাজেজামা সেওড়াগুড়ি এলাকায় বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই দেশি মদ পরিবহনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযুক্তের নাম বিশ্বনাথ ঘোষ (৪২)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ ঘোষের কাছ থেকে হ্যাপি গোল্ড ব্র্যান্ডের মোট ৬০ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে, যা ৬০০ মিলি ধারণক্ষমতার তিনটি কার্টুনে রাখা ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মদের কোনো বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। ঘটনাস্থল থেকেই বিশ্বনাথ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয় এবং আবগারি আইনের অধীন যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং এর উৎস ও সম্ভাব্য পাচার চক্রের সন্ধানে তদন্ত চলছে। জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, “অবৈধ মদ পরিবহন ও বিক্রয় রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে কেউ আইনের বাইরে কিছু করার চেষ্টা করলে, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ ছিল, এবং এই ধরপাকড়ে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।

উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি বগিতে গাঁজাভর্তি ট্রলি! বামনহাট স্টেশনে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল চোরাকারবারীরা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: বামনহাট রেলওয়ে স্টেশনে গাঁজা পাচারের গোপন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল জিআরপি। আজ সকালে নির্দিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে স্টেশনের কাছে একটি নাকা চেকিং চালু করা হয়। তবুও চোরাকারবারীরা কৌশলে রেললাইন পার হয়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি বগিতে প্রবেশ করে এবং দুটি ট্রলি ব্যাগ রেখে চম্পট দেয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিষয়টি দ্রুত জানানো হয় বাসমানহাট আরএস জিআরপি ইনচার্জ এসআই নিখিল ডাকুয়াকে। এরপর এসডিপিও দিনহাটা ধীমান মিত্র-র উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের এসি বগি B1 থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি সন্দেহভাজন ট্রলি ব্যাগ। পরবর্তীতে ব্যাগদ্বয় খোলার পর দেখা যায়, তার ভেতরে গাঁজা ভর্তি রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ দুটি জিআরপি হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনার পর গোটা বগিতে তল্লাশি চালানো হলেও কোনও সন্দেহভাজনকে আটক করা যায়নি। পুলিশের অনুমান, অভিযানের খবর পেয়ে পাচারকারীরা আগেভাগেই ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিআরপি সূত্রে জানানো হয়েছে, "এটি সুসংগঠিত চক্রের কাজ হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রলি ব্যাগগুলির উৎস ও সংশ্লিষ্টদের খোঁজে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।" স্থানীয় রেলস্টেশনে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

দিনহাটায় মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে সফল রক্তদান শিবির, স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৩ মে: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে ও দিনহাটা মহকুমা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার দিনহাটা শহীদ হেমন্ত বসু কর্নারে অনুষ্ঠিত হল এক স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির। মহকুমা শাসক বিধু শেখরের নেতৃত্বে আয়োজিত এই শিবিরে ছিল সাধারণ মানুষের চোখে পড়ার মতো উৎসাহ ও অংশগ্রহণ। শিবিরে মোট ৭১ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই মহতী উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। দিনহাটা সাব ডিভিশনাল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, শেমরক ফ্লোরেট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা, দিনহাটা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। রক্তদাতাদের মধ্যে ছিলেন দিনহাটা থানার আইসি জয়দীপ মোদক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় গিরি, দিনহাটা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক মনসুর হাবিবুল্লাহ, এবং শেমরক ফ্লোরেট স্কুলের প্রিন্সিপাল পারমিতা সরকার-সহ সমাজের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে মহকুমা শাসক নিজে শিবিরে উপস্থিত থেকে তাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। এই উপলক্ষে প্রেস ক্লাব সম্পাদক মনসুর হাবিবুল্লাহ বলেন, “রক্তদান মানে জীবনদান। এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ুক—এটাই আমাদের লক্ষ্য।” স্থানীয় মহলের মতে, এই শিবির কেবল রক্ত সংগ্রহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তাও ছড়িয়ে দেয়।

লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬, জনসংযোগে মন্ত্রী উদয়ন গুহ।

Saturday : উত্তরের হাওয়া, ১০ মে: লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সেই উদ্দেশ্যে আজ দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ কিশামত দশগ্রাম অঞ্চলে জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের নানান সমস্যা ও অভাব-অভিযোগ শোনেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা মন্ত্রী মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সমস্যাগুলোর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। মন্ত্রী বলেন, "জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করাই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। তাঁদের কথা শোনার মাধ্যমেই আমরা প্রকৃত চিত্রটা জানতে পারি এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি।" এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকায় এক ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের প্রতিনিধি তথা মন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

১৩ মে দিনহাটায় রক্তদান শিবির, প্রস্তুতি সভা

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ৭ মে: বর্তমানে রক্তের ঘাটতির আশঙ্কা মাথায় রেখে দিনহাটা মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ১৩ মে হেমন্ত বসু কর্নারে আয়োজন করা হয়েছে একটি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার মহকুমা শাসকের দপ্তরে এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী বিজয় গিরি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা সাব-ডিভিশনাল প্রেস ক্লাবের সম্পাদক মনসুর হাবিবুল্লাহ, ‘দিনহাটা দৈনিক’-এর সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ নানা স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন রক্তদান শিবিরে দিনহাটা প্রেস ক্লাবের সব সদস্যই রক্তদান করবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে এই মহৎ উদ্যোগে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এই সময়ে রক্তের চাহিদা মেটাতে সকলের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। দেশের প্রয়োজনে এ ধরনের উদ্যোগ সব সময়ই প্রশংসনীয়।”
সাংবাদিক মহলের তরফে জানানো হয়েছে, “সংবাদ কভার করার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিই।”
‘দেশের জন্য, দশের জন্য – রক্ত দিন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিনহাটাবাসীকে রক্তদানে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কোচবিহার

অবৈধভাবে পাচার হওয়া উট উদ্ধার কোচবিহারে, তদন্তে পুলিশ।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: অবৈধ পশু পাচার রুখতে বড়সড় সাফল্য কোচবিহার জেলা পুলিশের। কোতোয়ালি থানা এবং টাপুরহাট ক্যাম্প টিম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়ামারির ছোট আঠারোকোঠা এলাকায় পাঁচটি উট উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোকসেদুল হকের ভাই আমিকুল হকের বাড়ির পিছনের দুটি পৃথক স্থানে এই উটগুলি গোপনে রাখা ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার টিম অভিযান চালিয়ে পশুগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই উটগুলি অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা। ইতিমধ্যেই পাঁচটি উট উদ্ধার করা হয়েছে এবং পুরো ঘটনাটি ঘিরে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। পুলিশ এই ধরনের পাচারচক্রকে নির্মূল করতে আরও তৎপর বলে জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় পশু পাচারের মতো কাজ আগেও ঘটেছে, তবে উট পাচারের ঘটনা অত্যন্ত বিরল, যা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

নিশিগঞ্জে গ্রেপ্তার এক যুবক, উদ্ধার দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলি।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ মে: কোচবিহার জেলার নিশিগঞ্জ থানা এলাকার রুনিবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি তাজা গুলিসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রাজীব দাস। বয়স ২৩ বছর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান এবং একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রটি কোথা থেকে এসেছে এবং তার ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। ঘটনার পর রাজীব দাসের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রের উৎস ও সম্ভাব্য অপরাধমূলক চক্রের সঙ্গে ধৃতের যোগাযোগ ছিল কিনা, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের নজরদারি ও তল্লাশি অভিযান নিয়মিত চালু রয়েছে। সমাজে সুরক্ষা বজায় রাখতে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর।" এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কোচবিহার MJN মেডিকেল কলেজে অস্বাভাবিক মৃত্যু, পাঁচতলা থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৬মে: ফের চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজে। বৃহস্পতিবার রাতে মেডিকেল কলেজের বিল্ডিংয়ের পাঁচতলা থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত যুবকের নাম এস.কে শাহজাহান (২৪), যিনি মেডিকেল কলেজে বিল্ডিং সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, শাহজাহান ঘটনার সময় তিনি মেডিকেল কলেজ বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় এক ঘরে একাই ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। রাতের দিকে সহকর্মীরা খোঁজ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন এবং সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। এই মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এম জে এন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

চাষট্টি (চাষা) জনগোষ্ঠীর ওবিসি হিয়ারিং, ইতিবাচক সাড়া

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৪ মেঃ গত ১৩ই মে ২০২৫ তারিখে চাষট্টি (চাষা) জনগোষ্ঠীর ওবিসি অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত হিয়ারিং অনুষ্ঠিত হয়। এই জনগোষ্ঠীর পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নস্য শেখ উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গ মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ বজলে রহমান। চাষট্টি জনগোষ্ঠী মূলত মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান ও নদীয়া জেলায় বসবাসকারী প্রায় ২৫,০০০ মানুষের একটি অতি দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন, এবং পুরাতন দলিল অনুযায়ী তারা “চাষা” বা “চাষট্টি” নামে পরিচিত। ২০০৯ সালে ডঃ বজলে রহমানের উদ্যোগে চাষট্টি জনগোষ্ঠীর পক্ষে নথিপত্র কমিশনে জমা দেওয়া হয়, যার ভিত্তিতে ২০১০ সালে এরা ওবিসি তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে চাষট্টি সহ আরও কিছু সম্প্রদায়ের ওবিসি স্বীকৃতি বাতিল হয়। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, চাষট্টি জাতিটি তপশীল জাতি (SC) হিসেবে যোগ্য হতে পারে – এই সম্ভাবনার উল্লেখ করেই তাদের ওবিসি স্বীকৃতি বাতিল করা হয়। অপরদিকে, মুর্শিদাবাদের জেলা শাসকের রিপোর্টে কিছু ত্রুটি ছিল বলেও নির্দেশ করা হয়। এই প্রেক্ষিতে নতুন করে একটি জরিপ, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও স্থানীয় দুইজন এমএলএ-র সুপারিশ কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। হিয়ারিংয়ের সময় ডঃ বজলে রহমান কমিশনের সামনে তুলে ধরেন যে ১৯০২ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট এবং Risley সাহেবের “Caste and Tribes in India” বইয়ের তথ্য অনুযায়ী চাষট্টি জনগোষ্ঠী ঐতিহাসিকভাবে রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত ও নিম্নবর্গীয় শ্রেণিভুক্ত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “SC স্বীকৃতির প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি এবং অনিশ্চিত – তাই এই অজুহাতে চাষট্টির ওবিসি স্বীকৃতি বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত নয়।” কমিশন প্রতিনিধিদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন ও জানান, তারা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করবেন। হিয়ারিংয়ে নদীয়া জেলা থেকে আসা মুসলিম চাষা সহ মোট ২৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। চাষট্টি সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি দিবাকর মন্ডল, সম্পাদক সুনীল রায়, অরুপ মন্ডল, বিকাশ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

ভবানীগঞ্জ বাজারে কোচবিহার পৌরসভার হঠাৎ অভিযান, সরব পৌরপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৪ মেঃ সকাল সকাল ভবানীগঞ্জ বাজারে হঠাৎ অভিযান চালাল কোচবিহার পৌরসভা। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন খোদ পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বাজার পরিদর্শন করে দোকানদারদের সতর্ক করেন ব্যবসায়িক সামগ্রী দোকানের বাইরে না রাখার জন্য। এদিন বাজারে ঘুরে তিনি দেখেন, বহু দোকানদার তাঁদের পণ্যসামগ্রী দোকানের বাইরে রাস্তার উপর রেখেছেন, যার ফলে পথচলতি মানুষজন সমস্যায় পড়ছেন। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সরাসরি জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় এবং সকল সামগ্রী দোকানের ভেতরে রাখা হয়। এছাড়াও বাজারের ভিতরে থাকা বিভিন্ন খাবারের দোকানে রান্নার জন্য গ্যাস ওভেন ব্যবহারের বিষয়টি নিয়েও কড়া বার্তা দেন পৌরপতি। তিনি বলেন, “বাজারের ভিতরে রান্নাবান্না করলে যে কোনও সময় বড় বিপদ হতে পারে। তাই রান্না বাড়ি থেকেই করে আনতে হবে এবং এখানে শুধুমাত্র বিক্রি করা যাবে।” পৌরপতির দাবি, ব্যবসায়িক স্থানে আগুন লাগলে তার দায় কেউ নেবে না। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এদিনের অভিযানে তিনি অনেক ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স, ফুড লাইসেন্স এবং ফায়ার লাইসেন্স চেক করেন। পরিদর্শনের শেষে তিনি জানান, নিয়মবিধি মানার জন্য সবাইকে সচেতন করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে। এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরোজ ঘোষ বলেন, “বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এই ধরণের উদ্যোগ প্রয়োজনীয়।” অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, আগাম নোটিশ না পেয়ে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়েছিলেন তাঁরা, তবে নিয়ম মেনে চলতে প্রস্তুত।

রাজ্য

নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে চলন্ত ট্রেনেই সন্তান প্রসব, মানবিক ভূমিকায় লেডি কনস্টেবল স্বপ্না দাস।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৪ মে: অভূতপূর্ব এক ঘটনার সাক্ষী থাকল নিউ আলিপুরদুয়ার রেলস্টেশন। বুধবার দুপুরে এক গর্ভবতী মহিলা প্রসববেদনায় কাতর হলে তাৎক্ষণিক সহায়তা পৌঁছে দিয়ে প্রশংসার দাবিদার হয়ে উঠলেন আরপিএফ-এর লেডি হেড কনস্টেবল স্বপ্না দাস। ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১২টা নাগাদ। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কর্তব্যরত অবস্থায় স্বপ্না দাস দেখতে পান, এক মহিলা প্রচণ্ড প্রসববেদনায় ভুগছেন। তিনি অবিলম্বে রেল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসা পরিষেবাকে বিষয়টি জানিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন। ওই মহিলা, যিনি ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ১৩১৪২ ডাউন তিস্তা এক্সপ্রেসের এস-৮ বগিতে টয়লেট ব্যবহারের জন্য উঠেছিলেন, চিকিৎসাকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই ১২টা ১০ মিনিটে একটি শিশুর জন্ম দেন। আরপিএফ-এর মহিলা কর্মীরা এবং শিশু সহায়তা ডেস্কের সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদান করেন। এরপর দুপুর ১২:৫৫ টায় রেলওয়ে মেডিকেল অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছে মা ও নবজাতককে চিকিৎসা সহায়তা দেন এবং আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে জানা যায়, প্রসূতির নাম নেহা দেবী (২৬), তিনি বিহারের ভাগলপুর জেলার শিবনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং রূপেশ মহালদারের স্ত্রী। তিনি ১২৫১৬ ডাউন গুয়াহাটি-মালদহ এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করছিলেন এবং প্রসববেদনায় হঠাৎ নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নেমে যান। এই ঘটনার কারণে তিস্তা এক্সপ্রেস প্রায় ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট বিলম্বে স্টেশন ছাড়ে। মা ও নবজাতক বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। লেডি কনস্টেবল স্বপ্না দাসের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও মানবিক উদ্যোগে রেল পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করেছে সাধারণ মানুষ ও সহকর্মীরা।

চাষট্টি (চাষা) জনগোষ্ঠীর ওবিসি হিয়ারিং, ইতিবাচক সাড়া

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৪ মেঃ গত ১৩ই মে ২০২৫ তারিখে চাষট্টি (চাষা) জনগোষ্ঠীর ওবিসি অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত হিয়ারিং অনুষ্ঠিত হয়। এই জনগোষ্ঠীর পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নস্য শেখ উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গ মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ বজলে রহমান। চাষট্টি জনগোষ্ঠী মূলত মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান ও নদীয়া জেলায় বসবাসকারী প্রায় ২৫,০০০ মানুষের একটি অতি দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন, এবং পুরাতন দলিল অনুযায়ী তারা “চাষা” বা “চাষট্টি” নামে পরিচিত। ২০০৯ সালে ডঃ বজলে রহমানের উদ্যোগে চাষট্টি জনগোষ্ঠীর পক্ষে নথিপত্র কমিশনে জমা দেওয়া হয়, যার ভিত্তিতে ২০১০ সালে এরা ওবিসি তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে চাষট্টি সহ আরও কিছু সম্প্রদায়ের ওবিসি স্বীকৃতি বাতিল হয়। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, চাষট্টি জাতিটি তপশীল জাতি (SC) হিসেবে যোগ্য হতে পারে – এই সম্ভাবনার উল্লেখ করেই তাদের ওবিসি স্বীকৃতি বাতিল করা হয়। অপরদিকে, মুর্শিদাবাদের জেলা শাসকের রিপোর্টে কিছু ত্রুটি ছিল বলেও নির্দেশ করা হয়। এই প্রেক্ষিতে নতুন করে একটি জরিপ, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও স্থানীয় দুইজন এমএলএ-র সুপারিশ কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। হিয়ারিংয়ের সময় ডঃ বজলে রহমান কমিশনের সামনে তুলে ধরেন যে ১৯০২ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট এবং Risley সাহেবের “Caste and Tribes in India” বইয়ের তথ্য অনুযায়ী চাষট্টি জনগোষ্ঠী ঐতিহাসিকভাবে রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত ও নিম্নবর্গীয় শ্রেণিভুক্ত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “SC স্বীকৃতির প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি এবং অনিশ্চিত – তাই এই অজুহাতে চাষট্টির ওবিসি স্বীকৃতি বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত নয়।” কমিশন প্রতিনিধিদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন ও জানান, তারা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করবেন। হিয়ারিংয়ে নদীয়া জেলা থেকে আসা মুসলিম চাষা সহ মোট ২৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। চাষট্টি সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি দিবাকর মন্ডল, সম্পাদক সুনীল রায়, অরুপ মন্ডল, বিকাশ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় ৩৫০ পরিবার, শাসক শিবিরে অস্বস্তি।

Monday : উত্তরের হাওয়া, ৫ মে: তৃণমূল কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিয়ে প্রায় ১৫০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। রবিবার বিজেপির আয়োজিত এক যোগদান কর্মসূচিতে বিধায়ক মনোজ টিগ্গার হাত ধরে তাঁরা বিজেপির পতাকা তুলে নেন।
ফলে ডুয়ার্সের রাজনীতিতে বড়সড় পালাবদল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নাগরাকাটা ব্লকের ধরণীপুর চা বাগানে চা শ্রমিকদের অভিযোগ, তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিলেও ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে মজুরি বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, আবাসন ও শিক্ষা-সহ মৌলিক সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। উন্নয়নের কোনও দিশা না পেয়ে তারা শাসকদলের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান নতুন যোগদানকারীরা।
এই ব্যাপক দলবদলের ফলে রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। চা শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত হলেও, এই ধরনের গণযোগদান আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের কাছে বড় বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “তৃণমূল চা শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছুই দেয়নি। মানুষ বুঝে গেছেন, উন্নয়নের জন্য বিজেপিই একমাত্র ভরসা।
এদিকে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই দলত্যাগকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, “এটি সাময়িক অসন্তোষ। মানুষ আবার ফিরবেন উন্নয়নের পথে।”
ডুয়ার্সের রাজনীতিতে এই পরিবর্তন আগামী দিনে আরও উত্তাপ ছড়াতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

"কবিতাঞ্জলি" বই প্রকাশ — পাঠকমহলে সাড়া ফেললেন কবি অঞ্জনা চক্রবর্তী

Sunday : উত্তরের হাওয়া, ২৭ এপ্রিল: গত ১৩ই এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে হুগলী নিবাসী কবি অঞ্জনা চক্রবর্তীর নতুন কাব্যগ্রন্থ "কবিতাঞ্জলি"। বইটি প্রকাশ করেছে জয়শ্রী পাবলিকেশনস। ইতিমধ্যেই বইটি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আমাজন অ্যাপে উপলব্ধ হয়েছে। বিভিন্ন আঙ্গিকে কবির ভাবনার গভীরতা ও দর্শন পাঠকমহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। কবিতাগুলিতে জীবনের সূক্ষ্ম অনুভূতি, দর্শন এবং মানবিকতার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। পাঠক এবং সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে বইটি ইতিমধ্যেই উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। "কবিতাঞ্জলি"র মাধ্যমে কবি অঞ্জনা চক্রবর্তী বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বলে সাহিত্য মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন।

ভাটিয়া মুসলিমের ওবিসি স্বীকৃতির শুনানির জন্য ডাক পেলেন বজলে রহমান।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ২৫ এপ্রিল: ভাটিয়া মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওবিসি (অন্যতম পশ্চাদপদ শ্রেণী) স্বীকৃতির জন্য সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে ঝুলে থাকা মামলার শুনানির জন্য ডাক পেলেন বজলে রহমান। কোচবিহার জেলার এই ছোট্ট জনগোষ্ঠীটি দীর্ঘদিন ধরে ওবিসি স্বীকৃতি পেতে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে বজলে রহমান পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণী কমিশনে আবেদন করেন এবং একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে কমিশনে শুনানীতে নেতৃত্ব দেন। এর ফলস্বরূপ ২০১০ সালে ভাটিয়া মুসলিমদের ওবিসি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। কিন্তু গত বছরের হাইকোর্টের রায়ে এই স্বীকৃতি বাতিল তালিকায় চলে আসে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে ভাটিয়া জনগোষ্ঠী নিয়ে মূলত কোনো অভিযোগ না থাকলেও, শুধুমাত্র জনগোষ্ঠীর সঠিক নামের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এর পর, কমিশন অফিসের সাথে যোগাযোগ করার পর, বজলে রহমান সাহেবকে শুনানির জন্য আহ্বান করা হয়। এ বিষয়ে রহমান সাহেব জানান, "আমি ২৯ এপ্রিল কলকাতা যাচ্ছি, সমস্ত নথিপত্র এবং ভাটিয়া মুসলিমদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে কমিশনে শুনানীতে অংশ নিতে। আমার বিশ্বাস, আমি কমিশনকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হব। এরপর কমিশন এই নথি ও রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করলে, ভাটিয়া মুসলিমরা তাদের ওবিসি স্বীকৃতি পুনরায় ফিরে পাবে।" এটি ভাটিয়া মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং তারা পুনরায় তাদের ওবিসি স্বীকৃতি ফিরে পেতে আশাবাদী।

দেশ

তিন মাসে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধানের আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের

Friday : উত্তরের হাওয়া, ৭ মার্চ: ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিতর্কের মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধান করবে তারা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার ঢোকাচ্ছে। তার দাবি, প্রতিটি বিধানসভায় ২০-৩০ হাজার ভুয়া ভোটার যুক্ত করা হচ্ছে। মমতা বলেন, "বাংলা বহিরাগতদের সম্মান করতে জানে, কিন্তু বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে দেবে না।" এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সাফাই, একই এপিক নম্বর থাকলেই কোনো ভোটার ভুয়া প্রমাণিত হয় না। কারণ, রাজ্য ও ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র ও ভোট কেন্দ্র আলাদা হতে পারে। তবুও, এই সমস্যা সমাধানে কমিশন তিন মাস সময় নিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, দিল্লির নির্বাচন কমিশন অফিসে বসে আধার কার্ডের তথ্য কারসাজির মাধ্যমে বাংলার ভোটারদের নামের সঙ্গে অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর থাকা মানেই কারচুপি নয়, তবে বিভ্রান্তি দূর করতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্র হচ্ছে, যেখানে তৃণমূল এটিকে ষড়যন্ত্র বলছে, আর কমিশন এটিকে প্রশাসনিক জটিলতা হিসেবে দেখছে।

ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেনের জন্য নির্মীয়মাণ সেতু, বহু মানুষের চাপা পড়ার আশঙ্কা।

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৫ নভেম্বেরঃ ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেনের জন্য নির্মীয়মাণ সেতু, বহু মানুষের চাপা পড়ার আশঙ্কা। গুজরাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তৈরির সময়েই ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য নির্মীয়মান সেতু। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আনন্দে। ভাসাড়ের কাছে শ্রমিকরা বুলেট ট্রেনের জন্য সেতু নির্মাণের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আনন্দ পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং প্রশাসনিক কর্তারা উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছে ক্রেন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সময় বেশ কিছু শ্রমিক সিমেন্টের স্ল্যাবগুলির নীচে ছিলেন। সেতুটি ভেঙে পড়ায় বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে আটকা থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশের নীচ থেকে ইতিমধ্যেই একজন শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে এসে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে, আরও বেশ কয়েক জন শ্রমিক আটকে থাকতে পারেন।

স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পঞ্চাশ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল পঁচাত্তর হাজার টাকা

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২৩ জুলাই: অপরিবর্তিত রইল আয়কর, আয়কর কাঠামোর আরও সরলীকরণের আশ্বাস কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। বেতনভোগী সাধারণ নাগরিক এখনও পর্যন্ত নতুন করব্যবস্থাকে সেভাবে গ্রহণ করেননি। বিশেষ করে বেতন পান যাঁরা। তাই ২৫ লক্ষের বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে কেনাকাটাও বাড়বে, সঙ্গে মানুষ সঞ্চয়ের দিকেও এগেবোন বলে ধারণা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। নতুন কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া এমন কিছু পরিবর্তন করা হল যাতে, নতুন আয়কর কাঠামোয় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা লাভ করতে পারবেন করদাতারা। নতুন আয়কর কাঠামোয় কর জমা দিলে , ৩ থেকে ৭ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ৫% আয়কর দিতে হবে। ৭ থেকে ১০ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ১০% আয়কর দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ১৫% আয় দিতে হবে। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ২০% আয়কর দিতে হবে। ১৫ লক্ষের বেশি আয়ে ৩০% কর। পুরনো ট্যাক্স কাঠামোয় আলাদ করে কোনও পরিবর্তনও করা হল না, সুরাহা করা হল না। সেইসঙ্গে ঘোষণা, সময়ে TDS না দিলে অপরাধ নয়। এছাড়া ক্যাপিট্যাল গেনে ছাড় ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হল ২.২৫ লক্ষ। বাজেটে ই-কমার্সের উপর TDS কমানোর ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। আয়কর কাঠামোর আরও সরলীকরণের আশ্বাস দিলেন সীতারমণ। দেরিতে আয়কর জমা দিলে তুলনায় কম জরিমানা। জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী।

এডিজি বিএসএফ গুয়াহাটি সীমান্তের অধীনে কোচবিহার আন্তর্জাতিক সীমান্তের অপারেশনাল প্রস্তুতির পর্যালোচনা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ২৯ মার্চঃ শ্রী রবি গান্ধী, ADG, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের বিএসএফ গোপালপুর সেক্টর কোচবিহার সফরের সময়, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিএসএফ-এর অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন আজ। এডিজি বিএসএফ সেক্টর হেড কোয়ার্টার বিএসএফ গোপালপুর পরিদর্শন করেন যেখানে তাকে এলাকার বর্তমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তিনি বিএসএফ-এর গোপালপুর ও কোচবিহার সেক্টরের দায়িত্বের এলাকায় বিদ্যমান নদীপথ এবং বেড়িবিহীন সীমান্তের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন। শ্রী রবি গান্ধী, ADG সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন মোতায়েন করা বর্ডারম্যানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সীমানা রক্ষায় তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং তাদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন।

গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ২১মার্চ: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মদ নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির রাজনীতিতে এই ঘটনা ঘটল। আর স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। সূত্রের খবর আজ সন্ধে ৬টা নাগাদ কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। তারপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা শুরু করে তাঁরা। কেজরিওয়ালকে বারবার হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যেতে চাইছিল ইডি। কিন্তু তাতে রাজি হননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে খবর পেয়েই কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে ভিড় করতে শুরু করেন আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকরা। ২ ঘণ্টা কেজরিওয়ালকে জেরা করার পরেই তাকে গ্রেফতার করে ইডি।

বিশ্ব

খেলা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২জানুয়ারি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা হলো। মঙ্গলবার শহরের পাইওনিয়ার ক্লাব প্রাঙ্গনে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজে সূচনা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পাশাপাশি বয়েজ ক্লাব এলাকা থেকে চড়ক মেলা মাঠ পর্যন্ত হাইড্রেন তৈরির কাজের সূচনাও হয় এদিন। জানা গেছে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৯৬ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই দুটি প্রকল্প উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায়। এদিনের অনুষ্ঠানে সেখানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ ভট্টাচার্য, দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর মাহেশ্বরী, ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী, পাইওয়নিয়ার ক্লাবের সভাপতি ডঃ অমল বসাক সহ আরো অন্যান্যরা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, ছয় মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম। খেলাধুলার বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা মিলবে সেখানে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এই মিনি স্টেডিয়াম পুরোপুরি ভাবে তৈরি করে দিলেও দেখভালের দায়িত্বে থাকবে ক্লাব কতৃপক্ষের এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। বলা বাহুল্য, ১৯৮৮ সালে দিনহাটা শহর সংলগ্ন পুঁটিমারিতে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ৬ একর জমি কেনা হয়। তখন রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার। রাজ্যের যুব কল্যাণ দফতরের দেওয়া আর্থিক বরাদ্দে ওই জমি কেনা হয়। সরকারি নিয়ম মেনেই মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা এবং দিনহাটা–১ পঞ্চায়েত সমিতির মালিকাধীন বলে জমির ‘দলিল’ তৈরি হয়।তারপর প্রায় ৩৪ বছরেরও বেশি সময়কেটে গিয়েছে। সীমানা পাঁচিল ছাড়া স্টেডিয়াম তৈরির কিছুই হয়নি। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হলেও কেউই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আদৌ কি সেই স্টেডিয়াম তৈরি হবে সেই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে ঠিক তখনই দিনহাটা শহরের বুকে মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কাজের সূচনা হলো এদিন। পুটিমারি সংলগ্ন এলাকায় সেই স্টেডিয়ামের বিষয় নিয়ে এদিন মন্ত্রী উদয়ন গুহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্টেডিয়াম আর মিনি স্টেডিয়ামের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। সে সময় যারা সেখানে স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা করেছিলেন সেই সময় হয়তো পরিকল্পনার খানিকটা খামতি ছিল। সেখানে গাড়ি পার্কিং, অ্যাপ্রোচ, প্রবেশ পথের কোনরকম চিন্তাভাবনা হয়নি। সব মিলিয়ে একটা ঘাটতি থেকে গেছে। তবে মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরি ক্ষেত্রে সব কিছু ব্যবস্থায় থাকছে বলেও তিনি জানান। স্বাভাবিকভাবেই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম দিনহাটায় তৈরি হচ্ছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া এবং ক্রীড়া প্রেমীরা অত্যন্ত খুশি এমনটাই জানা গেছে।

তানিয়াকে সম্বর্ধনা দিল কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৪জুলাই: কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধিত করা হয় ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্যা কুমারী তানিয়া কামতি কে। উল্লেখ্য দিনহাটার মেয়ে তানিয়া কামতি একজন অতি সাধারণ ট্যাক্সি ড্রাইভার এর মেয়ে। নিজের অধ্যবসায় ও সাধনার ফলে আজকে সে জাতীয় ফুটবল দলে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত সাফ কেমসে ভারতীয় মহিলা ফুটবল এর হয়ে অংশ নিয়েছিল তানিয়া কামতি। এই আন্তর্জাতিক স্তরের খেলায় তানিয়ার পারফরম্যান্স দিনহাটা কোচবিহার এমনকি পশ্চিমবাংলা তথা ভারতের মান উঁচু করে। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কোচবিহারের স্টেডিয়াম সংলগ্ন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সভাকক্ষে তাকে ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়। এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত দত্ত। সহ-সভাপতি অমলেশ সরকার, সহ-সভাপতি তপন ঘোষ এবং সহ-সভাপতি অশোক হাজরা।

রাজনীতি

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় ৩৫০ পরিবার, শাসক শিবিরে অস্বস্তি।

Monday : উত্তরের হাওয়া, ৫ মে: তৃণমূল কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিয়ে প্রায় ১৫০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। রবিবার বিজেপির আয়োজিত এক যোগদান কর্মসূচিতে বিধায়ক মনোজ টিগ্গার হাত ধরে তাঁরা বিজেপির পতাকা তুলে নেন।
ফলে ডুয়ার্সের রাজনীতিতে বড়সড় পালাবদল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নাগরাকাটা ব্লকের ধরণীপুর চা বাগানে চা শ্রমিকদের অভিযোগ, তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিলেও ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে মজুরি বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, আবাসন ও শিক্ষা-সহ মৌলিক সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। উন্নয়নের কোনও দিশা না পেয়ে তারা শাসকদলের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান নতুন যোগদানকারীরা।
এই ব্যাপক দলবদলের ফলে রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। চা শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত হলেও, এই ধরনের গণযোগদান আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের কাছে বড় বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “তৃণমূল চা শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছুই দেয়নি। মানুষ বুঝে গেছেন, উন্নয়নের জন্য বিজেপিই একমাত্র ভরসা।
এদিকে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই দলত্যাগকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, “এটি সাময়িক অসন্তোষ। মানুষ আবার ফিরবেন উন্নয়নের পথে।”
ডুয়ার্সের রাজনীতিতে এই পরিবর্তন আগামী দিনে আরও উত্তাপ ছড়াতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তিন মাসে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধানের আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের

Friday : উত্তরের হাওয়া, ৭ মার্চ: ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিতর্কের মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধান করবে তারা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার ঢোকাচ্ছে। তার দাবি, প্রতিটি বিধানসভায় ২০-৩০ হাজার ভুয়া ভোটার যুক্ত করা হচ্ছে। মমতা বলেন, "বাংলা বহিরাগতদের সম্মান করতে জানে, কিন্তু বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে দেবে না।" এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সাফাই, একই এপিক নম্বর থাকলেই কোনো ভোটার ভুয়া প্রমাণিত হয় না। কারণ, রাজ্য ও ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র ও ভোট কেন্দ্র আলাদা হতে পারে। তবুও, এই সমস্যা সমাধানে কমিশন তিন মাস সময় নিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, দিল্লির নির্বাচন কমিশন অফিসে বসে আধার কার্ডের তথ্য কারসাজির মাধ্যমে বাংলার ভোটারদের নামের সঙ্গে অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর থাকা মানেই কারচুপি নয়, তবে বিভ্রান্তি দূর করতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্র হচ্ছে, যেখানে তৃণমূল এটিকে ষড়যন্ত্র বলছে, আর কমিশন এটিকে প্রশাসনিক জটিলতা হিসেবে দেখছে।

সংহতি ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভার প্রস্তুতি সভা উদয়নের

Sunday : উত্তরের হাওয়া, ৯ ফেব্রুয়ারীঃ কোচবিহার জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সভা সদ্য শেষ হয়েছে। এবার দিনহাটার সংহতি ময়দানে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় কর্মীদের জমায়েত করতে জোরদার প্রস্তুতি শুরু করলেন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এ ব্যাপারে দিনহাটার আপন ঘরে প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার প্রতি বঞ্চনা সহ একাধিক ইস্যুতে দিনহাটা শহরে ওই সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলেছে কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসাবে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবেই ওই সভা বলে রাজনৈতিক মহলের অনেকের ধারণা। দিল্লি বিধানসভায় বিজেপির জয়ের পর কিছুটা উজ্জীবিত বিজেপি। ফলে আগামী বিধানসভা ভোটে জমজমাট লড়াই হতে চলেছে এমন আলোচনাও চলছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত কারার দাবীতে প্রতিবাদ মিছিল সি পি এম এর

Monday : উত্তরের হাওয়া, ২ডিসেম্বর: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত কারার দাবীতে ও লাগাতার নির্যাতন বন্ধের দাবিতে CPI (M) দিনহাটা ডাকে প্রতিবাদ মিছিলে। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবন থেকে চওড়াহাট বাজার হয়ে সাহেবগঞ্জ রোড হয়ে চৌপথীতে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন সি পি আই (এম) জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য প্রবীর পাল, জেলা কমিটি সদস্য শুভ্রালোক দাস, সুজাতা চক্রবর্তী, দিনহাটা এরিয়া সম্পাদক জয় চৌধুরী, ভেটাগুড়ি - নিগমনগর এরিয়া সম্পাদক উৎপল আচার্য্য, বামনহাটা এরিয়া দেবেন বর্মন, বর্ষিয়ান পার্টি নেতৃত্ব ইনসাফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সিপিএম এর দিনহাটা এরিয়া তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত দিনহাটা শহরে

Sunday : উত্তরের হাওয়া, ১৭ নভেম্বরঃ সিপিআই(এম) দিনহাটা এরিয়া ৩ য় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো আজ দিনহাটা শহরে। কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি ও কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নগর (দিনহাটা শহর) কমরেড হোসেন চন্দ্র সাহা ও কমরেড আমিনুর ইসলাম মঞ্চ,কমরেড তরুণ চন্দ্র কক্ষে।এদিন সম্মেলনের শুরুতে পতাকা উত্তোলন করেন প্রবীণ সিপিআই (এম) নেতা অমল আচার্য্য।এরপর বিদায়ী সম্পাদক প্রবীর পাল সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়।সম্মেলন থেকে দিনহাটা শহর ও ভেটাগুড়ি - নিগমনগর দুটি আলাদা কমিটি গঠন হয়।দিনহাটা এরিয়া কমিটির মোট ১৪ জনের কমিটি গঠিত হয়। নবনির্বাচিত কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হয় জয় চৌধুরী।ভেটাগুড়ি - নিগমনগর এরিয়া কমিটির মোট ১৭ জনের কমিটি গঠিত হয়। নবনির্বাচিত কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হয় উৎপল আচার্য্য।

রাশিফল

লাইফস্টাইল




Follow us on                  

About Us
uttorerhawa, a pioneering digital platform, is revolutionizing the way citizens access news, information, and services.
Contact Us
Address : Dinhata, Cooch Behar
Call : 7076088024
WhatsApp : 7076088024
Email : uttorerhawa1985@gmail.com
Important Link
  • Disclaimer
  • Privacy Policy

  • Total Visitor : 1817088