Wednesday 19 November 2025




সর্বশেষ













রেল জেনারেল ম্যানেজারের হাতে দাবিপত্র জমা দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ ও প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন।

উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নিউ কোচবিহার স্টেশন পরিদর্শনে এসে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের হাতে একগুচ্ছ দাবি সম্বলিত স্মারকপত্র তুলে দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ গৌহাটি মালিগাঁও থেকে জেনারেল ম্যানেজার নিউ কোচবিহার স্টেশনে পৌঁছাতেই দাবিপত্র প্রদান ও আলোচনার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক জেনারেল ম্যানেজারের হাতে স্মারকপত্রটি তুলে দেন এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল পরিষেবা সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্মারকপত্রে সম্ভাব্য ট্রেন বৃদ্ধি, সময়সূচির উন্নতি, স্টেশনে যাত্রী–সুবিধা বাড়ানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আলোচনার পর জেনারেল ম্যানেজার দাবিগুলি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, যাত্রীদের সুবিধা ও এলাকার রেল পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে রেলওয়ে সর্বদা সচেতন, এবং উত্থাপিত দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইমন বিশ্বাস, হীরক রায়, সুমন বিশ্বাসসহ উভয় সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিনহাটার উন্নত রেল পরিষেবা নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়া হবে।

Wednesday

রেল জেনারেল ম্যানেজারের হাতে দাবিপত্র জমা দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ ও প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নিউ কোচবিহার স্টেশন পরিদর্শনে এসে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের হাতে একগুচ্ছ দাবি সম্বলিত স্মারকপত্র তুলে দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ গৌহাটি মালিগাঁও থেকে জেনারেল ম্যানেজার নিউ কোচবিহার স্টেশনে পৌঁছাতেই দাবিপত্র প্রদান ও আলোচনার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক জেনারেল ম্যানেজারের হাতে স্মারকপত্রটি তুলে দেন এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল পরিষেবা সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্মারকপত্রে সম্ভাব্য ট্রেন বৃদ্ধি, সময়সূচির উন্নতি, স্টেশনে যাত্রী–সুবিধা বাড়ানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আলোচনার পর জেনারেল ম্যানেজার দাবিগুলি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, যাত্রীদের সুবিধা ও এলাকার রেল পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে রেলওয়ে সর্বদা সচেতন, এবং উত্থাপিত দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইমন বিশ্বাস, হীরক রায়, সুমন বিশ্বাসসহ উভয় সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিনহাটার উন্নত রেল পরিষেবা নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়া হবে।

2025-11-19

অপরিকল্পিত SIR বন্ধের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর — BLO–র মৃত্যুর পর ফের ক্ষোভে রাজ্য।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সারাংশ সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়াকে ঘিরে রাজ্যে ফের তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ির মালবাজারে BLO শান্তিমুনি এক্কা (৪৮)-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেই ৯ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নমিতা হাঁসদার ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছিল। পরিবার দাবি করেছিল, অতিরিক্ত চাপের SIR কাজ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই পরপর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি X-এ লেখেন— “এভাবে আর প্রাণহানি চাই না। অবিলম্বে এই অপরিকল্পিত SIR অভিযান বন্ধ করুন।” তাঁর প্রশ্ন, যেখানে আগে ১ থেকে ১.৫ বছর ধরে SIR চলত, সেখানে এখন মাত্র দুই মাসে কাজ শেষ করার তাড়াহুড়ো কেন? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অমানবিক চাপে BLO–দের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

মমতার অভিযোগ, SIR শুরুর পর থেকে রাজ্যে ইতিমধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে—কেউ আতঙ্কে, কেউ দুশ্চিন্তায়, আর কেউ অতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে। তাঁর কথায়, “নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্বার্থ মেটাতে ইচ্ছাকৃত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে।”

তৃণমূল কংগ্রেস আগেই প্রশ্ন তুলেছিল, ২০০২ সালে SIR সম্পন্ন করতে যেখানে এক বছর লেগেছিল, সেখানে এখন মাত্র এক-দুই মাসে কীভাবে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি সম্ভব?

ক্রমাগত মৃত্যু ও উদ্বেগের পর রাজ্য সরকারের অভিযোগ আরও জোরালো— যদি এই চাপ অব্যাহত থাকে, তাহলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

2025-11-19

অপরিকল্পিত SIR বন্ধের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর — BLO–র মৃত্যুর পর ফের ক্ষোভে রাজ্য।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সারাংশ সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়াকে ঘিরে রাজ্যে ফের তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ির মালবাজারে BLO শান্তিমুনি এক্কা (৪৮)-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেই ৯ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নমিতা হাঁসদার ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছিল। পরিবার দাবি করেছিল, অতিরিক্ত চাপের SIR কাজ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই পরপর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি X-এ লেখেন— “এভাবে আর প্রাণহানি চাই না। অবিলম্বে এই অপরিকল্পিত SIR অভিযান বন্ধ করুন।” তাঁর প্রশ্ন, যেখানে আগে ১ থেকে ১.৫ বছর ধরে SIR চলত, সেখানে এখন মাত্র দুই মাসে কাজ শেষ করার তাড়াহুড়ো কেন? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অমানবিক চাপে BLO–দের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

মমতার অভিযোগ, SIR শুরুর পর থেকে রাজ্যে ইতিমধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে—কেউ আতঙ্কে, কেউ দুশ্চিন্তায়, আর কেউ অতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে। তাঁর কথায়, “নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্বার্থ মেটাতে ইচ্ছাকৃত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে।”

তৃণমূল কংগ্রেস আগেই প্রশ্ন তুলেছিল, ২০০২ সালে SIR সম্পন্ন করতে যেখানে এক বছর লেগেছিল, সেখানে এখন মাত্র এক-দুই মাসে কীভাবে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি সম্ভব?

ক্রমাগত মৃত্যু ও উদ্বেগের পর রাজ্য সরকারের অভিযোগ আরও জোরালো— যদি এই চাপ অব্যাহত থাকে, তাহলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

2025-11-19

বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, এসআইআর কাজের চাপেই ‘আত্মঘাতী’, অভিযোগ পরিবারের।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বর: বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়ার মাঝেই মহিলা বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালবাজারে। বুধবার সকালে রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিউ গ্লেনকো চা বাগানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও বুথ লেভেল অফিসার শান্তিমুনি এক্কার (৪৮) দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর সংক্রান্ত অতিরিক্ত কাজের চাপে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে বাড়ির উঠোনে শান্তিমুনির ঝুলন্ত দেহ দেখে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করে ওঠেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং মালবাজার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবারের দাবি, হিন্দি মাধ্যমে পড়াশোনা করায় বাংলা পড়া-লেখায় সমস্যা হত শান্তিমুনির। তবুও তাঁকে বিএলও-র বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রতিদিনই কাজের অতিরিক্ত চাপ নিয়ে বাড়ি ফিরতেন তিনি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কান্নায় ভেঙে পড়তেন বলেও জানিয়েছে পরিবার। একাধিকবার তাঁর অব্যাহতি চাইলেও আবেদন গ্রহণ করা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।
ঘটনার খবর পেয়ে এদিন মৃতার বাড়িতে পৌঁছন মালের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবড়াইক। তিনি জানান, “এসআইআর আতঙ্কে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন। এবার কাজের চাপে একজন বিএলও-র মৃত্যু। এর দায় নির্বাচন কমিশনের।”
ব্লক কর্তারা মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন।

2025-11-19

দিনহাটা

রেল জেনারেল ম্যানেজারের হাতে দাবিপত্র জমা দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ ও প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নিউ কোচবিহার স্টেশন পরিদর্শনে এসে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের হাতে একগুচ্ছ দাবি সম্বলিত স্মারকপত্র তুলে দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ গৌহাটি মালিগাঁও থেকে জেনারেল ম্যানেজার নিউ কোচবিহার স্টেশনে পৌঁছাতেই দাবিপত্র প্রদান ও আলোচনার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক জেনারেল ম্যানেজারের হাতে স্মারকপত্রটি তুলে দেন এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল পরিষেবা সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্মারকপত্রে সম্ভাব্য ট্রেন বৃদ্ধি, সময়সূচির উন্নতি, স্টেশনে যাত্রী–সুবিধা বাড়ানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আলোচনার পর জেনারেল ম্যানেজার দাবিগুলি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, যাত্রীদের সুবিধা ও এলাকার রেল পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে রেলওয়ে সর্বদা সচেতন, এবং উত্থাপিত দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইমন বিশ্বাস, হীরক রায়, সুমন বিশ্বাসসহ উভয় সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিনহাটার উন্নত রেল পরিষেবা নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়া হবে।

মহাকাল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক-অভিভাবিকাদের নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত।

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ১৮ নভেম্বর: মহাকাল হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাগত অগ্রগতি, উপস্থিতি, শৃঙ্খলা এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন চলমান কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করতে এদিনের এই সভার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সাথে ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষকরা জানান, বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মান আরও উন্নত করতে বিদ্যালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নিয়মিত ক্লাস, অতিরিক্ত পাঠদান, বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ, এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি—এসব বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের বিস্তারিতভাবে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, সময়মতো স্কুলে আসা এবং হোমওয়ার্ক সম্পূর্ণ করার বিষয়েও বিশেষ জোর দেওয়া হয়। অভিভাবক-অভিভাবিকাদের পক্ষ থেকেও বিদ্যালয়ের উন্নতি, নিরাপত্তা এবং শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে একাধিক মতামত ও পরামর্শ উঠে আসে। অনেকেই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উন্নতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন, আবার কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়ার অনুরোধও জানান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয় যে, অভিভাবকদের মতামত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সামগ্রিকভাবে এদিনের সভা শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সুস্থ যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি করল।

সেন্ট মেরিস স্কুলে জমজমাট স্কুল ফেট, উৎসবমুখর দিনহাটা।

Saturday : উত্তরের হাওয়া, ১৫ নভেম্বরে: দিনহাটায় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় সেন্ট মেরি স্কুলে আজ অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক স্কুল ফেট। সকাল থেকেই ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। নানা রঙের সাজসজ্জা, মনোমুগ্ধকর স্টল এবং শিশুদের উচ্ছ্বাসে দিনটি যেন উৎসবের আমেজে ভরে ওঠে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপক কুমার ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা ১নং পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ডালিয়া চক্রবর্তী, দিনহাটা ভিলেজ–১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুমা খাসনবীশ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বহু অভিভাবক। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা, দলগত দক্ষতা এবং সামাজিক মেলামেশার অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফেটের আয়োজন।
ফেটে ছিল বিভিন্ন আকর্ষণীয় খেলা, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, খাবারের স্টল এবং রঙিন । ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে একাধিক প্রতিযোগিতাও আয়োজিত হয়, যা পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
দিনহাটায় সেন্ট মেরি স্কুলের এই ফেট শুধু বিনোদন নয়, ছোটদের প্রতিভা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে উঠল আজ।

মহাকালহাটের জ্ঞানদ্বীপ শিশু নিকেতনে আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হলো শিশু দিবস।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৪ নভেম্বর: ১৪ই নভেম্বর সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহাকালহাটের জ্ঞানদ্বীপ শিশু নিকেতনে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো শিশু দিবস। এদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছোটদের জন্য নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দিনটির বিশেষ তাৎপর্য তুলে ধরে জহরলাল নেহেরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, গান এবং নৃত্য পরিবেশনার মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক–শিক্ষিকারা শিশুদের মধ্যে নেহেরুর জীবন, আদর্শ ও শিশুদের প্রতি তাঁর ভালবাসা সম্পর্কে আলোচনাও করেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুদের প্রতিভা বিকাশ, সৃজনশীলতা বাড়ানো এবং আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের বার্তাই এই দিনের প্রধান উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সব মিলিয়ে আনন্দ-উৎসাহে ভরপুর পরিবেশে শিশু দিবসটি স্মরণীয় হয়ে রইল জ্ঞানদ্বীপ শিশু নিকেতন পরিবারের জন্য।

শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষায় জোর, কোচবিহারে মণ্টেসরি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন।

Sunday : উত্তরের হাওয়া, ২ নভেম্বরঃ কোচবিহারে স্থিত Swapan Smriti Montessori Teacher Training College-এর উদ্যোগে ‘Child Centric Education’ শীর্ষক একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো গোবরারছরা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিশু-কেন্দ্রিক শিক্ষাপদ্ধতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. সুশান্ত সরকার, প্রিন্সিপাল ইন চার্জ সঞ্জীব মোদক এবং শিক্ষিকা মৌমিতা আচার্য। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন International Montessori Teacher Training Institute-এর নর্থ ইস্ট রিজিওনাল ডিরেক্টর প্রদীপ আচার্য, যিনি শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন শিক্ষণ উপকরণ ব্যবহারের ব্যাখ্যা দেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন National Council for Un-Aided School Organization-এর সম্পাদক তোফাজ্জল হক, কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ বণিক, দিনহাটা মহাকুমা সম্পাদক পরিমল চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি মাহমুদুল হক, সহ-সম্পাদক বিপ্লব সরকার, উত্তম কুমার বর্মন সহ বিভিন্ন শিক্ষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকদের মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও সৃজনশীল ও বাস্তবভিত্তিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে এই ধরনের কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কোচবিহার

রেল জেনারেল ম্যানেজারের হাতে দাবিপত্র জমা দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ ও প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নিউ কোচবিহার স্টেশন পরিদর্শনে এসে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের হাতে একগুচ্ছ দাবি সম্বলিত স্মারকপত্র তুলে দিল দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ গৌহাটি মালিগাঁও থেকে জেনারেল ম্যানেজার নিউ কোচবিহার স্টেশনে পৌঁছাতেই দাবিপত্র প্রদান ও আলোচনার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক জেনারেল ম্যানেজারের হাতে স্মারকপত্রটি তুলে দেন এবং দিনহাটা–কোচবিহার রেল পরিষেবা সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্মারকপত্রে সম্ভাব্য ট্রেন বৃদ্ধি, সময়সূচির উন্নতি, স্টেশনে যাত্রী–সুবিধা বাড়ানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে নজর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আলোচনার পর জেনারেল ম্যানেজার দাবিগুলি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, যাত্রীদের সুবিধা ও এলাকার রেল পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে রেলওয়ে সর্বদা সচেতন, এবং উত্থাপিত দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইমন বিশ্বাস, হীরক রায়, সুমন বিশ্বাসসহ উভয় সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিনহাটার উন্নত রেল পরিষেবা নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়া হবে।

শিক্ষার মানোন্নয়নে কোচবিহারে পরখ ওয়ার্কশপ। উপস্থিত জেলার ২৬ সার্কেলের শিক্ষক ও পরিদর্শকরা।

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ১১ নভেম্বর: আজ কোচবিহার রেলঘুমটি সংলগ্ন DIET প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ “পরখ ওয়ার্কশপ”, যার মূল উদ্দেশ্য জেলার বিদ্যালয়গুলিতে তৃতীয়, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মানোন্নয়ন ঘটানো। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশনায় আয়োজিত এই একদিনের কর্মশালায় অংশ নেন জেলার ২৬টি সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রতিটি সার্কেল থেকে একজন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, দুইজন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক—এইভাবে মোট ১০৪ জন শিক্ষাবিদ এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। ওয়ার্কশপে শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ মডিউল, পাঠদানের নতুন কৌশল এবং শিক্ষার্থীদের শেখার অগ্রগতি মূল্যায়নের উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। আয়োজকরা জানান, এই কর্মশালা শিক্ষকদের বাস্তব অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যা ভবিষ্যতে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

মোয়ামারীতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তৃণমুল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ৬ নভেম্বর: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত তিনটি ঘর ও একটি গরু। গতকাল কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারী অঞ্চলের শিঙ্গি জানি এলাকায় আগুনে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় তিনটি পরিবার। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরের যাবতীয় আসবাব, দরকারি কাগজপত্র এবং একটি গরু। ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী। আজ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাধবী নাগ, আবুল কালাম আজাদ, জুলফিকার আলি ও শিবা বর্মনসহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান, প্রশাসনের তরফে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরি করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। এলাকাবাসীর দাবি, আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মাথাভাঙায় বিজেপি BLA 2 কে মারধর ও গলায় জুতোর মালা পরানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ৬ নভেম্বরঃ SIR এনুমেরেশন ফর্ম বিলির সময় চাঞ্চল্য ছড়াল মাথাভাঙা ১ ব্লকের পচাগড় পঞ্চায়েতের ২৩৯ নম্বর বুথে। অভিযোগ, ছাটখাটেরবাড়ি এলাকায় বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA-2) নিভাশ দাসকে মারধর করে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বিজেপির অভিযোগ, বি.এল.ও নিশিথ রায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন স্থানীয় নেতা পরিকল্পনা করে এই হেনস্থার ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাথাভাঙা থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষায় জোর, কোচবিহারে মণ্টেসরি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন।

Sunday : উত্তরের হাওয়া, ২ নভেম্বরঃ কোচবিহারে স্থিত Swapan Smriti Montessori Teacher Training College-এর উদ্যোগে ‘Child Centric Education’ শীর্ষক একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো গোবরারছরা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিশু-কেন্দ্রিক শিক্ষাপদ্ধতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. সুশান্ত সরকার, প্রিন্সিপাল ইন চার্জ সঞ্জীব মোদক এবং শিক্ষিকা মৌমিতা আচার্য। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন International Montessori Teacher Training Institute-এর নর্থ ইস্ট রিজিওনাল ডিরেক্টর প্রদীপ আচার্য, যিনি শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন শিক্ষণ উপকরণ ব্যবহারের ব্যাখ্যা দেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন National Council for Un-Aided School Organization-এর সম্পাদক তোফাজ্জল হক, কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ বণিক, দিনহাটা মহাকুমা সম্পাদক পরিমল চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি মাহমুদুল হক, সহ-সম্পাদক বিপ্লব সরকার, উত্তম কুমার বর্মন সহ বিভিন্ন শিক্ষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকদের মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও সৃজনশীল ও বাস্তবভিত্তিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে এই ধরনের কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

রাজ্য

অপরিকল্পিত SIR বন্ধের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর — BLO–র মৃত্যুর পর ফের ক্ষোভে রাজ্য।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সারাংশ সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়াকে ঘিরে রাজ্যে ফের তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ির মালবাজারে BLO শান্তিমুনি এক্কা (৪৮)-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেই ৯ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নমিতা হাঁসদার ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছিল। পরিবার দাবি করেছিল, অতিরিক্ত চাপের SIR কাজ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই পরপর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি X-এ লেখেন— “এভাবে আর প্রাণহানি চাই না। অবিলম্বে এই অপরিকল্পিত SIR অভিযান বন্ধ করুন।” তাঁর প্রশ্ন, যেখানে আগে ১ থেকে ১.৫ বছর ধরে SIR চলত, সেখানে এখন মাত্র দুই মাসে কাজ শেষ করার তাড়াহুড়ো কেন? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অমানবিক চাপে BLO–দের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

মমতার অভিযোগ, SIR শুরুর পর থেকে রাজ্যে ইতিমধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে—কেউ আতঙ্কে, কেউ দুশ্চিন্তায়, আর কেউ অতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে। তাঁর কথায়, “নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্বার্থ মেটাতে ইচ্ছাকৃত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে।”

তৃণমূল কংগ্রেস আগেই প্রশ্ন তুলেছিল, ২০০২ সালে SIR সম্পন্ন করতে যেখানে এক বছর লেগেছিল, সেখানে এখন মাত্র এক-দুই মাসে কীভাবে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি সম্ভব?

ক্রমাগত মৃত্যু ও উদ্বেগের পর রাজ্য সরকারের অভিযোগ আরও জোরালো— যদি এই চাপ অব্যাহত থাকে, তাহলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

অপরিকল্পিত SIR বন্ধের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর — BLO–র মৃত্যুর পর ফের ক্ষোভে রাজ্য।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বরঃ নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সারাংশ সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়াকে ঘিরে রাজ্যে ফের তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ির মালবাজারে BLO শান্তিমুনি এক্কা (৪৮)-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেই ৯ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নমিতা হাঁসদার ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছিল। পরিবার দাবি করেছিল, অতিরিক্ত চাপের SIR কাজ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই পরপর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি X-এ লেখেন— “এভাবে আর প্রাণহানি চাই না। অবিলম্বে এই অপরিকল্পিত SIR অভিযান বন্ধ করুন।” তাঁর প্রশ্ন, যেখানে আগে ১ থেকে ১.৫ বছর ধরে SIR চলত, সেখানে এখন মাত্র দুই মাসে কাজ শেষ করার তাড়াহুড়ো কেন? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অমানবিক চাপে BLO–দের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

মমতার অভিযোগ, SIR শুরুর পর থেকে রাজ্যে ইতিমধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে—কেউ আতঙ্কে, কেউ দুশ্চিন্তায়, আর কেউ অতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে। তাঁর কথায়, “নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্বার্থ মেটাতে ইচ্ছাকৃত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে।”

তৃণমূল কংগ্রেস আগেই প্রশ্ন তুলেছিল, ২০০২ সালে SIR সম্পন্ন করতে যেখানে এক বছর লেগেছিল, সেখানে এখন মাত্র এক-দুই মাসে কীভাবে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি সম্ভব?

ক্রমাগত মৃত্যু ও উদ্বেগের পর রাজ্য সরকারের অভিযোগ আরও জোরালো— যদি এই চাপ অব্যাহত থাকে, তাহলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, এসআইআর কাজের চাপেই ‘আত্মঘাতী’, অভিযোগ পরিবারের।

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ নভেম্বর: বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়ার মাঝেই মহিলা বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালবাজারে। বুধবার সকালে রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিউ গ্লেনকো চা বাগানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও বুথ লেভেল অফিসার শান্তিমুনি এক্কার (৪৮) দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর সংক্রান্ত অতিরিক্ত কাজের চাপে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে বাড়ির উঠোনে শান্তিমুনির ঝুলন্ত দেহ দেখে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করে ওঠেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং মালবাজার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবারের দাবি, হিন্দি মাধ্যমে পড়াশোনা করায় বাংলা পড়া-লেখায় সমস্যা হত শান্তিমুনির। তবুও তাঁকে বিএলও-র বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রতিদিনই কাজের অতিরিক্ত চাপ নিয়ে বাড়ি ফিরতেন তিনি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কান্নায় ভেঙে পড়তেন বলেও জানিয়েছে পরিবার। একাধিকবার তাঁর অব্যাহতি চাইলেও আবেদন গ্রহণ করা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।
ঘটনার খবর পেয়ে এদিন মৃতার বাড়িতে পৌঁছন মালের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবড়াইক। তিনি জানান, “এসআইআর আতঙ্কে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন। এবার কাজের চাপে একজন বিএলও-র মৃত্যু। এর দায় নির্বাচন কমিশনের।”
ব্লক কর্তারা মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন।

মুখ খুলবেন বুঝেশুনে: মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহকর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহকর্মী মন্ত্রীদের একাধিক বিষয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুজোয় এলাকায় থাকুন, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু দলের টাকায় নয়, নিজের সঞ্চয় থেকেও সাহায্য করুন।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, বর্তমানে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। তাই সরকারি দপ্তরের টাকা খরচের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের আরও দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে। অযথা অপচয় করলে তার জবাবদিহি করতে হবে বলেও তিনি জানান।

তবে মমতার সতর্কতা শুধু অর্থব্যবস্থাপনা নয়, বক্তব্য নিয়েও ছিল। তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, “আলটপকা মন্তব্য করবেন না। মুখ খুলবেন বুঝেশুনে। পরিস্থিতি বুঝে কথা বলুন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এখন সবচেয়ে জরুরি।” তাঁর মতে, দলের ভিতরে মতানৈক্য থাকতেই পারে, কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সংবাদমাধ্যমের সামনে তো নয়ই। কারণ এতে দলের পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলনেত্রীর এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ অতীতে দলের কিছু নেতা–বিধায়ক ও সাংসদের মন্তব্যে একাধিকবার দল অস্বস্তিতে পড়েছে। ডেবরা ও ভরতপুরের বিধায়ক দুই হুমায়ুন কবীর, মালদার সংগঠনিক সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সের মন্তব্য কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের অডিয়ো ক্লিপ দলকে বিতর্কে ফেলেছিল। কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় কিছু নেতার মন্তব্য নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রীরা সরাসরি বেফাঁস মন্তব্য করেননি, তবুও নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা সতর্ক সংকেত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সব মিলিয়ে, মমতার বক্তব্যে স্পষ্ট—মন্ত্রীদের একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, তেমনই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দল ও সরকারের ভাবমূর্তি যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তার দায়ও তাঁদেরই নিতে হবে।

৭৬তম পঃবঃ রাজ্য ওয়েটলিফটিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন কোচবিহারের মুলতি দেবনাথ।

Monday : উত্তরের হাওয়া, ১৫ সেপ্টেম্বরঃ কোচবিহার জেলার ক্রীড়া মহলে খুশির হাওয়া। ৭৬তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় যুব মহিলাদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলেন কোচবিহার ব্যায়াম বিদ্যালয়ের সদস্যা মুলতি দেবনাথ। পূর্ব বর্ধমানের কালীবাজার কবাডি খেলার মাঠে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে মুলতি দেবনাথ ওয়েটলিফটিংয়ের স্ন্যাচে ৫০ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৬৫ কেজি অর্থাৎ মোট ১১৫ কেজি ওজন তুলতে সক্ষম হন। এর ফলে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে সোনার পদক জয় করেন। এই জয়ে গর্বিত কোচবিহার ব্যায়াম বিদ্যালয় এবং জেলার ক্রীড়ামোদীরা। বিদ্যালয়ের কোচ ও জেলা ওয়েটলিফটিং সংস্থার সম্পাদক তথা বিদ্যালয়ের সচিব বিভু রঞ্জন সাহা জানান, “আমরা ভীষণ খুশি। মুলতির এই সাফল্য আমাদের জেলার গর্ব। আমরা চাই ভবিষ্যতে সে জাতীয় স্তরে আরও সাফল্য অর্জন করুক। ভগবানের কাছে সেই প্রার্থনাই করি।” মুলতির এই অর্জনে ব্যায়াম বিদ্যালয় চত্বরজুড়ে আনন্দ ও উল্লাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সহপাঠী ও ক্রীড়াপ্রেমীরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকেই আশা করছেন, কোচবিহারের এই কন্যা একদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাফল্যের মুকুট ছিনিয়ে আনবে।

দেশ

তিন মাসে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধানের আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের

Friday : উত্তরের হাওয়া, ৭ মার্চ: ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিতর্কের মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধান করবে তারা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার ঢোকাচ্ছে। তার দাবি, প্রতিটি বিধানসভায় ২০-৩০ হাজার ভুয়া ভোটার যুক্ত করা হচ্ছে। মমতা বলেন, "বাংলা বহিরাগতদের সম্মান করতে জানে, কিন্তু বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে দেবে না।" এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সাফাই, একই এপিক নম্বর থাকলেই কোনো ভোটার ভুয়া প্রমাণিত হয় না। কারণ, রাজ্য ও ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র ও ভোট কেন্দ্র আলাদা হতে পারে। তবুও, এই সমস্যা সমাধানে কমিশন তিন মাস সময় নিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, দিল্লির নির্বাচন কমিশন অফিসে বসে আধার কার্ডের তথ্য কারসাজির মাধ্যমে বাংলার ভোটারদের নামের সঙ্গে অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর থাকা মানেই কারচুপি নয়, তবে বিভ্রান্তি দূর করতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্র হচ্ছে, যেখানে তৃণমূল এটিকে ষড়যন্ত্র বলছে, আর কমিশন এটিকে প্রশাসনিক জটিলতা হিসেবে দেখছে।

ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেনের জন্য নির্মীয়মাণ সেতু, বহু মানুষের চাপা পড়ার আশঙ্কা।

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৫ নভেম্বেরঃ ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেনের জন্য নির্মীয়মাণ সেতু, বহু মানুষের চাপা পড়ার আশঙ্কা। গুজরাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তৈরির সময়েই ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য নির্মীয়মান সেতু। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আনন্দে। ভাসাড়ের কাছে শ্রমিকরা বুলেট ট্রেনের জন্য সেতু নির্মাণের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আনন্দ পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং প্রশাসনিক কর্তারা উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছে ক্রেন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সময় বেশ কিছু শ্রমিক সিমেন্টের স্ল্যাবগুলির নীচে ছিলেন। সেতুটি ভেঙে পড়ায় বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে আটকা থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশের নীচ থেকে ইতিমধ্যেই একজন শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে এসে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে, আরও বেশ কয়েক জন শ্রমিক আটকে থাকতে পারেন।

স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পঞ্চাশ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল পঁচাত্তর হাজার টাকা

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২৩ জুলাই: অপরিবর্তিত রইল আয়কর, আয়কর কাঠামোর আরও সরলীকরণের আশ্বাস কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। বেতনভোগী সাধারণ নাগরিক এখনও পর্যন্ত নতুন করব্যবস্থাকে সেভাবে গ্রহণ করেননি। বিশেষ করে বেতন পান যাঁরা। তাই ২৫ লক্ষের বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে কেনাকাটাও বাড়বে, সঙ্গে মানুষ সঞ্চয়ের দিকেও এগেবোন বলে ধারণা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। নতুন কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া এমন কিছু পরিবর্তন করা হল যাতে, নতুন আয়কর কাঠামোয় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা লাভ করতে পারবেন করদাতারা। নতুন আয়কর কাঠামোয় কর জমা দিলে , ৩ থেকে ৭ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ৫% আয়কর দিতে হবে। ৭ থেকে ১০ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ১০% আয়কর দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ১৫% আয় দিতে হবে। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ২০% আয়কর দিতে হবে। ১৫ লক্ষের বেশি আয়ে ৩০% কর। পুরনো ট্যাক্স কাঠামোয় আলাদ করে কোনও পরিবর্তনও করা হল না, সুরাহা করা হল না। সেইসঙ্গে ঘোষণা, সময়ে TDS না দিলে অপরাধ নয়। এছাড়া ক্যাপিট্যাল গেনে ছাড় ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হল ২.২৫ লক্ষ। বাজেটে ই-কমার্সের উপর TDS কমানোর ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। আয়কর কাঠামোর আরও সরলীকরণের আশ্বাস দিলেন সীতারমণ। দেরিতে আয়কর জমা দিলে তুলনায় কম জরিমানা। জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী।

এডিজি বিএসএফ গুয়াহাটি সীমান্তের অধীনে কোচবিহার আন্তর্জাতিক সীমান্তের অপারেশনাল প্রস্তুতির পর্যালোচনা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ২৯ মার্চঃ শ্রী রবি গান্ধী, ADG, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের বিএসএফ গোপালপুর সেক্টর কোচবিহার সফরের সময়, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিএসএফ-এর অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন আজ। এডিজি বিএসএফ সেক্টর হেড কোয়ার্টার বিএসএফ গোপালপুর পরিদর্শন করেন যেখানে তাকে এলাকার বর্তমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তিনি বিএসএফ-এর গোপালপুর ও কোচবিহার সেক্টরের দায়িত্বের এলাকায় বিদ্যমান নদীপথ এবং বেড়িবিহীন সীমান্তের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন। শ্রী রবি গান্ধী, ADG সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন মোতায়েন করা বর্ডারম্যানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সীমানা রক্ষায় তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং তাদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন।

গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ২১মার্চ: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মদ নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির রাজনীতিতে এই ঘটনা ঘটল। আর স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। সূত্রের খবর আজ সন্ধে ৬টা নাগাদ কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। তারপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা শুরু করে তাঁরা। কেজরিওয়ালকে বারবার হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যেতে চাইছিল ইডি। কিন্তু তাতে রাজি হননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে খবর পেয়েই কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে ভিড় করতে শুরু করেন আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকরা। ২ ঘণ্টা কেজরিওয়ালকে জেরা করার পরেই তাকে গ্রেফতার করে ইডি।

বিশ্ব

রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প, জাপানে আছড়ে পড়ল সুনামি! তীব্রতা ৮.৮ রিখটার, সতর্কতা আমেরিকাতেও।

Wednesday : রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প, জাপানে আছড়ে পড়ল সুনামি! তীব্রতা ৮.৮ রিখটার, সতর্কতা আমেরিকাতেও। উত্তরের হাওয়া, ৩০ জুলাই ২০২৫: রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল গোটা কামচাটকা উপদ্বীপ। বুধবার সকালে রিখটার স্কেলে ৮.৮ মাত্রার শক্তিশালী এই কম্পনের জেরে তীব্র সুনামি আছড়ে পড়েছে জাপানের হোক্কাইডো উপকূলে। বিশাল ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল প্রায় ৪ মিটার। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত প্রাণহানির খবর না মিললেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল জুড়ে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা USGS জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে। এত গভীরতায় হওয়া সত্ত্বেও ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল বিপজ্জনক। কামচাটকা, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ ও আশেপাশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। বহু বাড়ির দেওয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে।
জাপানে ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা। প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা জানিয়েছেন, “সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল, আলাস্কার আলেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন, ওয়াশিংটন ও হাওয়াই-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়।
আন্তর্জাতিক সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য বিপদের কথা মাথায় রেখে সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চল খালি করা হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের সময় বাড়ির আসবাব পড়ে যাচ্ছে, দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করছে। তীব্রতা ও বিস্তৃতি বিচার করে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়।

খেলা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২জানুয়ারি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা হলো। মঙ্গলবার শহরের পাইওনিয়ার ক্লাব প্রাঙ্গনে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজে সূচনা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পাশাপাশি বয়েজ ক্লাব এলাকা থেকে চড়ক মেলা মাঠ পর্যন্ত হাইড্রেন তৈরির কাজের সূচনাও হয় এদিন। জানা গেছে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৯৬ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই দুটি প্রকল্প উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায়। এদিনের অনুষ্ঠানে সেখানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ ভট্টাচার্য, দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর মাহেশ্বরী, ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী, পাইওয়নিয়ার ক্লাবের সভাপতি ডঃ অমল বসাক সহ আরো অন্যান্যরা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, ছয় মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম। খেলাধুলার বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা মিলবে সেখানে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এই মিনি স্টেডিয়াম পুরোপুরি ভাবে তৈরি করে দিলেও দেখভালের দায়িত্বে থাকবে ক্লাব কতৃপক্ষের এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। বলা বাহুল্য, ১৯৮৮ সালে দিনহাটা শহর সংলগ্ন পুঁটিমারিতে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ৬ একর জমি কেনা হয়। তখন রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার। রাজ্যের যুব কল্যাণ দফতরের দেওয়া আর্থিক বরাদ্দে ওই জমি কেনা হয়। সরকারি নিয়ম মেনেই মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা এবং দিনহাটা–১ পঞ্চায়েত সমিতির মালিকাধীন বলে জমির ‘দলিল’ তৈরি হয়।তারপর প্রায় ৩৪ বছরেরও বেশি সময়কেটে গিয়েছে। সীমানা পাঁচিল ছাড়া স্টেডিয়াম তৈরির কিছুই হয়নি। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হলেও কেউই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আদৌ কি সেই স্টেডিয়াম তৈরি হবে সেই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে ঠিক তখনই দিনহাটা শহরের বুকে মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কাজের সূচনা হলো এদিন। পুটিমারি সংলগ্ন এলাকায় সেই স্টেডিয়ামের বিষয় নিয়ে এদিন মন্ত্রী উদয়ন গুহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্টেডিয়াম আর মিনি স্টেডিয়ামের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। সে সময় যারা সেখানে স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা করেছিলেন সেই সময় হয়তো পরিকল্পনার খানিকটা খামতি ছিল। সেখানে গাড়ি পার্কিং, অ্যাপ্রোচ, প্রবেশ পথের কোনরকম চিন্তাভাবনা হয়নি। সব মিলিয়ে একটা ঘাটতি থেকে গেছে। তবে মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরি ক্ষেত্রে সব কিছু ব্যবস্থায় থাকছে বলেও তিনি জানান। স্বাভাবিকভাবেই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম দিনহাটায় তৈরি হচ্ছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া এবং ক্রীড়া প্রেমীরা অত্যন্ত খুশি এমনটাই জানা গেছে।

তানিয়াকে সম্বর্ধনা দিল কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৪জুলাই: কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধিত করা হয় ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্যা কুমারী তানিয়া কামতি কে। উল্লেখ্য দিনহাটার মেয়ে তানিয়া কামতি একজন অতি সাধারণ ট্যাক্সি ড্রাইভার এর মেয়ে। নিজের অধ্যবসায় ও সাধনার ফলে আজকে সে জাতীয় ফুটবল দলে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত সাফ কেমসে ভারতীয় মহিলা ফুটবল এর হয়ে অংশ নিয়েছিল তানিয়া কামতি। এই আন্তর্জাতিক স্তরের খেলায় তানিয়ার পারফরম্যান্স দিনহাটা কোচবিহার এমনকি পশ্চিমবাংলা তথা ভারতের মান উঁচু করে। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কোচবিহারের স্টেডিয়াম সংলগ্ন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সভাকক্ষে তাকে ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়। এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত দত্ত। সহ-সভাপতি অমলেশ সরকার, সহ-সভাপতি তপন ঘোষ এবং সহ-সভাপতি অশোক হাজরা।

রাজনীতি

মাথাভাঙায় বিজেপি BLA 2 কে মারধর ও গলায় জুতোর মালা পরানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ৬ নভেম্বরঃ SIR এনুমেরেশন ফর্ম বিলির সময় চাঞ্চল্য ছড়াল মাথাভাঙা ১ ব্লকের পচাগড় পঞ্চায়েতের ২৩৯ নম্বর বুথে। অভিযোগ, ছাটখাটেরবাড়ি এলাকায় বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA-2) নিভাশ দাসকে মারধর করে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বিজেপির অভিযোগ, বি.এল.ও নিশিথ রায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন স্থানীয় নেতা পরিকল্পনা করে এই হেনস্থার ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাথাভাঙা থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

মুখ খুলবেন বুঝেশুনে: মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহকর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহকর্মী মন্ত্রীদের একাধিক বিষয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুজোয় এলাকায় থাকুন, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু দলের টাকায় নয়, নিজের সঞ্চয় থেকেও সাহায্য করুন।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, বর্তমানে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। তাই সরকারি দপ্তরের টাকা খরচের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের আরও দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে। অযথা অপচয় করলে তার জবাবদিহি করতে হবে বলেও তিনি জানান।

তবে মমতার সতর্কতা শুধু অর্থব্যবস্থাপনা নয়, বক্তব্য নিয়েও ছিল। তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, “আলটপকা মন্তব্য করবেন না। মুখ খুলবেন বুঝেশুনে। পরিস্থিতি বুঝে কথা বলুন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এখন সবচেয়ে জরুরি।” তাঁর মতে, দলের ভিতরে মতানৈক্য থাকতেই পারে, কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সংবাদমাধ্যমের সামনে তো নয়ই। কারণ এতে দলের পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলনেত্রীর এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ অতীতে দলের কিছু নেতা–বিধায়ক ও সাংসদের মন্তব্যে একাধিকবার দল অস্বস্তিতে পড়েছে। ডেবরা ও ভরতপুরের বিধায়ক দুই হুমায়ুন কবীর, মালদার সংগঠনিক সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সের মন্তব্য কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের অডিয়ো ক্লিপ দলকে বিতর্কে ফেলেছিল। কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় কিছু নেতার মন্তব্য নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রীরা সরাসরি বেফাঁস মন্তব্য করেননি, তবুও নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা সতর্ক সংকেত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সব মিলিয়ে, মমতার বক্তব্যে স্পষ্ট—মন্ত্রীদের একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, তেমনই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দল ও সরকারের ভাবমূর্তি যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তার দায়ও তাঁদেরই নিতে হবে।

ভোটগণনার দিনেই বোমা-সন্ত্রাস, কালীগঞ্জে ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু। কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

Monday : উত্তরের হাওয়া, ২৩ জুন: উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনেই বোমা-সন্ত্রাসে কেঁপে উঠল নদিয়ার কালীগঞ্জ। সোমবার, ভোটগণনা চলাকালীন এলাকায় বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আলিফা আহমেদের বিপুল ব্যবধানে (৪৯ হাজারেরও বেশি ভোটে) জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই মোলান্ডি এলাকায় শুরু হয় বিজয় মিছিল। সেই সময়েই সিপিএম সমর্থকের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় সকেট বোমা। অভিযোগ, সেই বিস্ফোরণেরই শিকার হয় মাত্র ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রী। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে পড়ে সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরেই এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, > “এই বেদনাদায়ক ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। নিহত ছাত্রীর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।” পুলিশের পক্ষ থেকেও দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা। তবে পুলিশের প্রাথমিক বক্তব্য, বিস্ফোরণটি হয়তো দুর্ঘটনাবশত হয়েছে এবং ছিটকে যাওয়া স্প্লিন্টারের আঘাতেই মেয়েটির মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। একটি বিজয় মিছিল যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনতে পারে, তা ভাবতেও পারছেন না কেউ। রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিহত ছাত্রীর পরিবার, বিচার এবং শান্তির প্রত্যাশায় দিন গুনছে।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় ৩৫০ পরিবার, শাসক শিবিরে অস্বস্তি।

Monday : উত্তরের হাওয়া, ৫ মে: তৃণমূল কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিয়ে প্রায় ১৫০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। রবিবার বিজেপির আয়োজিত এক যোগদান কর্মসূচিতে বিধায়ক মনোজ টিগ্গার হাত ধরে তাঁরা বিজেপির পতাকা তুলে নেন।
ফলে ডুয়ার্সের রাজনীতিতে বড়সড় পালাবদল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নাগরাকাটা ব্লকের ধরণীপুর চা বাগানে চা শ্রমিকদের অভিযোগ, তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিলেও ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে মজুরি বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, আবাসন ও শিক্ষা-সহ মৌলিক সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। উন্নয়নের কোনও দিশা না পেয়ে তারা শাসকদলের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান নতুন যোগদানকারীরা।
এই ব্যাপক দলবদলের ফলে রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। চা শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত হলেও, এই ধরনের গণযোগদান আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের কাছে বড় বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “তৃণমূল চা শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছুই দেয়নি। মানুষ বুঝে গেছেন, উন্নয়নের জন্য বিজেপিই একমাত্র ভরসা।
এদিকে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই দলত্যাগকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, “এটি সাময়িক অসন্তোষ। মানুষ আবার ফিরবেন উন্নয়নের পথে।”
ডুয়ার্সের রাজনীতিতে এই পরিবর্তন আগামী দিনে আরও উত্তাপ ছড়াতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তিন মাসে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধানের আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের

Friday : উত্তরের হাওয়া, ৭ মার্চ: ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিতর্কের মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধান করবে তারা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার ঢোকাচ্ছে। তার দাবি, প্রতিটি বিধানসভায় ২০-৩০ হাজার ভুয়া ভোটার যুক্ত করা হচ্ছে। মমতা বলেন, "বাংলা বহিরাগতদের সম্মান করতে জানে, কিন্তু বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে দেবে না।" এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সাফাই, একই এপিক নম্বর থাকলেই কোনো ভোটার ভুয়া প্রমাণিত হয় না। কারণ, রাজ্য ও ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র ও ভোট কেন্দ্র আলাদা হতে পারে। তবুও, এই সমস্যা সমাধানে কমিশন তিন মাস সময় নিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, দিল্লির নির্বাচন কমিশন অফিসে বসে আধার কার্ডের তথ্য কারসাজির মাধ্যমে বাংলার ভোটারদের নামের সঙ্গে অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর থাকা মানেই কারচুপি নয়, তবে বিভ্রান্তি দূর করতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্র হচ্ছে, যেখানে তৃণমূল এটিকে ষড়যন্ত্র বলছে, আর কমিশন এটিকে প্রশাসনিক জটিলতা হিসেবে দেখছে।

রাশিফল

লাইফস্টাইল




Follow us on                  

About Us
uttorerhawa, a pioneering digital platform, is revolutionizing the way citizens access news, information, and services.
Contact Us
Address : Dinhata, Cooch Behar
Call : 7076088024
WhatsApp : 7076088024
Email : uttorerhawa1985@gmail.com
Important Link
  • Disclaimer
  • Privacy Policy

  • Total Visitor : 2331101