তিন মাসে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধানের আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের
Friday : উত্তরের হাওয়া, ৭ মার্চ: ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিতর্কের মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সমস্যার সমাধান করবে তারা।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার ঢোকাচ্ছে। তার দাবি, প্রতিটি বিধানসভায় ২০-৩০ হাজার ভুয়া ভোটার যুক্ত করা হচ্ছে। মমতা বলেন, "বাংলা বহিরাগতদের সম্মান করতে জানে, কিন্তু বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে দেবে না।"
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সাফাই, একই এপিক নম্বর থাকলেই কোনো ভোটার ভুয়া প্রমাণিত হয় না। কারণ, রাজ্য ও ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র ও ভোট কেন্দ্র আলাদা হতে পারে। তবুও, এই সমস্যা সমাধানে কমিশন তিন মাস সময় নিয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, দিল্লির নির্বাচন কমিশন অফিসে বসে আধার কার্ডের তথ্য কারসাজির মাধ্যমে বাংলার ভোটারদের নামের সঙ্গে অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম যুক্ত করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর থাকা মানেই কারচুপি নয়, তবে বিভ্রান্তি দূর করতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
এই ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্র হচ্ছে, যেখানে তৃণমূল এটিকে ষড়যন্ত্র বলছে, আর কমিশন এটিকে প্রশাসনিক জটিলতা হিসেবে দেখছে।
2025-03-07