Tuesday 2 December 2025

2025-09-19 | রাজ্য,রাজনীতি | উত্তরের হাওয়া | Views :
উত্তরের হাওয়া, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সহকর্মী মন্ত্রীদের একাধিক বিষয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুজোয় এলাকায় থাকুন, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু দলের টাকায় নয়, নিজের সঞ্চয় থেকেও সাহায্য করুন।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, বর্তমানে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। তাই সরকারি দপ্তরের টাকা খরচের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের আরও দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে। অযথা অপচয় করলে তার জবাবদিহি করতে হবে বলেও তিনি জানান।
তবে মমতার সতর্কতা শুধু অর্থব্যবস্থাপনা নয়, বক্তব্য নিয়েও ছিল। তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, “আলটপকা মন্তব্য করবেন না। মুখ খুলবেন বুঝেশুনে। পরিস্থিতি বুঝে কথা বলুন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এখন সবচেয়ে জরুরি।” তাঁর মতে, দলের ভিতরে মতানৈক্য থাকতেই পারে, কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সংবাদমাধ্যমের সামনে তো নয়ই। কারণ এতে দলের পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলনেত্রীর এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ অতীতে দলের কিছু নেতা–বিধায়ক ও সাংসদের মন্তব্যে একাধিকবার দল অস্বস্তিতে পড়েছে। ডেবরা ও ভরতপুরের বিধায়ক দুই হুমায়ুন কবীর, মালদার সংগঠনিক সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সের মন্তব্য কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের অডিয়ো ক্লিপ দলকে বিতর্কে ফেলেছিল। কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় কিছু নেতার মন্তব্য নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রীরা সরাসরি বেফাঁস মন্তব্য করেননি, তবুও নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা সতর্ক সংকেত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সব মিলিয়ে, মমতার বক্তব্যে স্পষ্ট—মন্ত্রীদের একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, তেমনই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দল ও সরকারের ভাবমূর্তি যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তার দায়ও তাঁদেরই নিতে হবে।
