/home/u302395843/domains/uttorerhawa.com/public_html/header.php on line 89
" />
Thursday 21 November 2024
2024-04-28 | দিনহাটা | উত্তরের হাওয়া | Views : 154
উত্তরের হাওয়া, দিনহাটা, ২৮ এপ্রিল: সদ্য তৈরী করা কাঠের আসবাব পত্রে জল ঢেলে পরিষ্কার করছিলেন বছর চল্লিশের জোৎস্না মোদক। কারন জিজ্ঞাসা তাঁর ঝাঁঝালো উত্তর, “ধুলোয় জীবন অতিষ্ঠ। নিজেদের সর্দিকাশ তো লেগেই আছে। তার উপর যেদিন থেকে কালভার্টের কাজ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই দোকানে বানানো আসবাবপত্রেও ধুলোর আস্তরন পড়ে যাচ্ছে। সেগুলো জল দিয়ে পরিষ্কার না করলে বিক্রিই হচ্ছেনা। দ্রুত কালভার্টের কাজ শেষ করা হোক।” শুধু চল্লিশোর্ধ এই আসবাবপত্রের দোকানি নন, কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২ ব্লকের বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাহ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতেই নির্মীয়মান কালভার্ট নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তির সুর ধরা পড়ল স্হানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, নিত্যযাত্রী ও গাড়ির চালকদের গলায়। স্হানীয় এলাকায় খোঁজ নিতেই জানা গেল, মাস তিনেক আগে সাহেবগঞ্জ থেকে বামনহাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা সম্প্রসারনের কাজ হাতে নিয়েছে পূর্ত(সড়ক) দপ্তর। রাস্তা সম্প্রসারনের কাজের অংশ হিসেবেই বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় একটি কালভার্টের কাজও শুরু হয়। অভিযোগ, রাস্তার এক দিক বন্ধ করে কালভার্টের একটি অংশের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। অথচ প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কালভার্টের অপর অংশের কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সরু অংশ দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীদের। এতে ব্যস্ত সময়ে যানজট হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যদিন ধুলোর ঝড় সইতে হচ্ছে স্হানীয়দের। এমন পরিস্হিতিতে দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক করার দাবী উঠছে। যদিও সংশ্লিষ্ট রাস্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সুজয় হেমব্রমের দাবী, জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় বিষয়টি আটকে রয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। দিনহাটা মহকুমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সাহেবগঞ্জ-বামনহাট সড়ক। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই সড়ক মহকুমার সাহেবগঞ্জ ও দিনহাটার সাথে সীমান্তের চৌধুরিহাট, বামনহাট ২ সহ বিস্তির্ন এলাকার সংযোগ মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ন। এমনকি সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি এতে জড়িত। রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবী দীর্ঘদিনের। ভোটের আগে প্রায় ৬ কিমি দীর্ঘ রাস্তাটির সম্প্রসারনের জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পূর্ত দপ্তর। সেই কাজও চলছে জোরকদমে। সেই কাজের অংশ হিসেবেই তৈরী হচ্ছে কালভার্টটি। স্বভাবতই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবস্হিত কালভার্টটির কাজ শেষ না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। স্হানীয় বাসিন্দা প্রভাত সেনের অভিযোগ, ধুলোর চোটে রাস্তায় বেরোনো যাচ্ছেনা। ঘরের দরজা জানালাও বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করা হোক। ধুলো নিয়ন্ত্রনে রাস্তায় জলও দিতে হবে। নিত্যযাত্রী বাপি বর্মনের অভিযোগ, কালভার্টটি জনবহুল এলাকায় অবস্হিত। পাশে বাজার, রেলস্টেশন, স্বাহ্যকেন্দ্র, স্কুল ইত্যাদি রয়েছে। ফলে দিনের ব্যস্ত সময়গুলিতে প্রায়শই যানজট হয়। গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। একই আশঙ্কা প্রকাশ করে আরেক নিত্যযাত্রী রফিক আলমের মন্তব্য, দ্রুত কাজ শেষ হোক। নয়তো রাতবিরেতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
# | message |
---|