Tuesday 22 October 2024




সর্বশেষ













প্রচারে লোক পাবে না বিরোধীরা! প্রার্থী হয়ে হুংকার সঙ্গীতার

উত্তরের হাওয়া: ২০ অক্টোবর: "সিতাই উপনির্বাচনে বিরোধীরা প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাবে না।" সংগীতা রায় বর্মা বসুনিয়া। সিতাই উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েই হুংকার সংগীতার। হৃদয় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য বিরোধীরা লোক খুঁজে পাবে না। শুধু তাই নয় অন্ততপক্ষে দুই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাও দাবি করলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সহধর্মিনী, সঙ্গীতা রায়। এমনটাই দাবি ছিল সিতাই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের। এদিন প্রার্থী পদ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। যদিও বা আগে থেকেই প্রস্তুতি সভা থেকে প্রচার শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী যেই হোক তাতে কোন অসুবিধা ছিল না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের, কিন্তু সঙ্গীতা রায় প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন পেল শাসক দল। যদিও বা এর আগেই করা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার সরাসরি বিরোধীদের শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন,‘রামই হোক বামই হোক বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল, যারা পশ্চিমবঙ্গে শিড়দাঁড়ার ব্যবসা করছেন এবারের উপনির্বাচনে তাঁদের শিড়দাঁড়া এমনভাবে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে যে সারা জীবন লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হবে।’ আগামী ১৩ ই নভেম্বর নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তিন থেকে চারটি রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কেউ উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখাবে না সিতাই উপনির্বাচনে। কারণ ২০১১ সাল থেকেই সিতাই বিধানসভায় নিজেদের ঘাঁটি গেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে ২০১৬ এবং ২০২১ দুই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল তৎকালীন বিধায়ক তথা বর্তমান কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। রেকর্ডসংখ্যক ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি শাসক দল তৃণমূলের। সব মিলিয়ে উপনির্বাচন হলেও সিতাই উপনির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সঙ্গীতা রায় বলেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত বুথে আমরা পিছিয়ে ছিলাম সবার আগে সেইগুলিকে হাতে আনার চেষ্টা করা হবে। মহিলা শক্তি এবং মহিলা সংগঠনকে কাজে লাগানো হচ্ছে। একই সাথে যুব এবং মাদার একত্রিত হয়ে উপনির্বাচন ভুলে গিয়ে নির্বাচনের মতই লড়াই করবে নির্বাচনের ময়দানে।

Sunday

প্রচারে লোক পাবে না বিরোধীরা! প্রার্থী হয়ে হুংকার সঙ্গীতার

Sunday : উত্তরের হাওয়া: ২০ অক্টোবর: "সিতাই উপনির্বাচনে বিরোধীরা প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাবে না।" সংগীতা রায় বর্মা বসুনিয়া। সিতাই উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েই হুংকার সংগীতার। হৃদয় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য বিরোধীরা লোক খুঁজে পাবে না। শুধু তাই নয় অন্ততপক্ষে দুই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাও দাবি করলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সহধর্মিনী, সঙ্গীতা রায়। এমনটাই দাবি ছিল সিতাই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের। এদিন প্রার্থী পদ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। যদিও বা আগে থেকেই প্রস্তুতি সভা থেকে প্রচার শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী যেই হোক তাতে কোন অসুবিধা ছিল না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের, কিন্তু সঙ্গীতা রায় প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন পেল শাসক দল। যদিও বা এর আগেই করা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার সরাসরি বিরোধীদের শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন,‘রামই হোক বামই হোক বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল, যারা পশ্চিমবঙ্গে শিড়দাঁড়ার ব্যবসা করছেন এবারের উপনির্বাচনে তাঁদের শিড়দাঁড়া এমনভাবে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে যে সারা জীবন লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হবে।’ আগামী ১৩ ই নভেম্বর নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তিন থেকে চারটি রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কেউ উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখাবে না সিতাই উপনির্বাচনে। কারণ ২০১১ সাল থেকেই সিতাই বিধানসভায় নিজেদের ঘাঁটি গেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে ২০১৬ এবং ২০২১ দুই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল তৎকালীন বিধায়ক তথা বর্তমান কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। রেকর্ডসংখ্যক ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি শাসক দল তৃণমূলের। সব মিলিয়ে উপনির্বাচন হলেও সিতাই উপনির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সঙ্গীতা রায় বলেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত বুথে আমরা পিছিয়ে ছিলাম সবার আগে সেইগুলিকে হাতে আনার চেষ্টা করা হবে। মহিলা শক্তি এবং মহিলা সংগঠনকে কাজে লাগানো হচ্ছে। একই সাথে যুব এবং মাদার একত্রিত হয়ে উপনির্বাচন ভুলে গিয়ে নির্বাচনের মতই লড়াই করবে নির্বাচনের ময়দানে।

2024-10-20

মহালক্ষীর পূজোর প্রস্তুতি শুরু কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ অক্টোবর: কোচবিহার রাজ পরিবারের মহালক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে৷ মদনমোহন বাড়ির কাঠামিয়া মন্দিরে শুরু হয়েছে দেবী মূর্তি নির্মাণের কাজ। রাজ পুরোহিত দিনেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, কোচবিহার মহারাজার নিয়ম নীতি মেনে চার হাতের লক্ষ্মীপূজো হবে একই গরিমায়। আজ রাত নটায় বসবে পুজো। রাজ আমলের রীতি মেনে আজও কোচবিহার রাজবাড়িতে মহালক্ষ্মীর পুজো হয়ে আসছে৷ দেবীমূর্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ এবারেও মহালক্ষ্মী মূর্তি তৈরি করছেন প্রভাত চিত্রকার। মৃৎশিল্পী প্রভাত চিত্রকর বংশ পরম্পরায় বিগত ৩৩ বছর থেকে দেবী মহালক্ষ্মী চতুর্ভুজা মূর্তি তৈরি করে আসছেন৷ মৃৎশিল্পী প্রভাত চিত্রকর জানিয়েছেন যে, অন্যান্য মা লক্ষ্মীর মূর্তি থেকে এই মূর্তি একেবারেই আলাদা। প্রত্যেকের ঘরে গৃহ লক্ষী পূজিত হন যার বাহন থাকেন পেঁচা। মদনমোহন মন্দিরের কাঠামিয়া মন্দিরে মহালক্ষ্মীর মূর্তির চারদিকে চারটি হাতি দাঁড়িয়ে থাকেন৷ মহালক্ষী দেবীর গায়ের রং রক্তবর্ণা মহালক্ষীর সাথে গজরাজে বিরাজমান ইন্দ্র দেবের পূজা হয় এদিন। দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পুজোয় বলি দেওয়া হবে কবুতর৷ বলি দিয়ে মহালক্ষ্মী পুজো রাজ আমল থেকেই হয়ে আসছে৷ রাজ পরিবারের মহালক্ষ্মী পুজোর পর অঞ্জলি দিতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ৷ বহু মানুষ ভোগ দিয়ে যান পুজোয়৷ রাজ আমলের রীতি মেনে পূজা হয় কোচবিহারের প্রায় ৪০০ বছর পুরনো রাজ পরিবারের মহালক্ষ্মীর। এক সময় কোচবিহারের রাজপ্রাসাদের এই মহালক্ষীর পূজো হলেও বর্তমানে এই মহালক্ষ্মী পুজো হয় কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে। কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে একসময় রাজবাড়ীতেই মহালক্ষ্মীর পুজা হত। স্বয়ং মহারাজা ও রাজপরিবারের সদস্যরা অংশ নিতেন সেই পূজাতে। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্ব পালন করে কোচবিহার দেবত্র ট্রাস্টবোর্ড। রাজা বা রাজার রাজত্ব না থাকলেও সেই পুরনো নিয়ম মেনেই মহালক্ষ্মী পুজো আজও হয় ধুমধাম করেই। লক্ষ্মী পুজোর দিন পুজো দেখতে আজও ঢল নামে ভক্তদের। লক্ষ্মী পূজার দিন এই মহালক্ষ্মী পুজোতে জোড়া পায়রা নয়তো পাঠা বলি দিয়ে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে এই রাজ আমলের পূজায়। কোচবিহারের রাজ পুরোহিত দিনেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, রাজ আমলের সমস্ত নিয়ম মেনেই এই মহালক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই মহালক্ষীর পূজো প্রায় ৪০০ বছর পুরনো। একসময় রাজবাড়ীতেই এই মহালক্ষ্মীর পূজা হতো। সেই সময় মহারাজা নিজেই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করতো। বর্তমানে মদনমোহন মন্দিরে সেই রাজ আমলের রীতি মেনেই পুজো হয়। বহু ভক্ত লক্ষ্মী পুজোর দিন মহালক্ষীর পূজা করতে মদনমোহন মন্দিরে আসেন। ভোগ নিবেদন এবং অঞ্জলির মাধ্যমে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে চলে এই পুজো।

2024-10-16

মহিলার উপরে কোন রকম আক্রমণ হলে চুপ থাকবে না পুলিশ। উদাহরণ হয়ে থাকলো মেখলিগঞ্জ থানা।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ২০সেপ্টেম্বর: মহিলাদের উপরে কোন ধরনের অত্যাচার বা তাদের সম্মানহানি হলে অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয়ে উঠবে পুলিশ প্রশাসন, এমনটাই নির্দেশ কোচবিহার জেলা পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছে প্রতিটা থানায়। তারই উদাহরণ হয়ে থাকলো কোচবিহার মেখলিগঞ্জ থানা। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল প্রায় ছ মাস ভিন রাজ্যে কাজ করে এক মহিলা তার বাড়িতে ফিরে আসে, তার উপরে চরিত্র খারাপ হওয়ার অভিযোগ এনে জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরায় বলে অভিযোগ এলাকার কিছু বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় সেই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ অভিযোগ করে মহিলার স্বামী। তদন্তের স্বার্থে মহিলা এবং তার স্বামীর নাম উল্লেখ করেনি পুলিশ প্রশাসন। অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জন অভিযুক্তর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। তাদের চৌদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মহাকুম আদালত। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে কোনরকম রিয়াদ করবে না পুলিশ এমনটাই জানান মাথাভাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই। তিনি বলেন পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে, আমরা শুধু অভিযোগের অপেক্ষায় থাকি। অনেক সময় অভিযোগ হয় না তাই আমরা আমাদের কাজ করে উঠতে পারি না। কোথাও কোনো রকম অসুবিধা হলে পুলিশের কাছে আসুন। পুলিশ আপনার বন্ধু শত্রু নয়। আইনি পদ্ধতিতে পুলিশ যথাসম্ভব সহযোগিতা করবে।

2024-09-20

ডাকাতির ছক বানচাল করল পুলিশ গ্রেপ্তার ছয় যুবক

Tuesday : উত্তরের হওয়া, কোচবিহার, ১৭ সেপ্টেম্বর: ডাকাতির উদ্দেশ্যে কোচবিহার শহর লাগোয়া পিলখানা এলাকায় জড়ো হয়েছিল ৬ যুবক। তাদের সাথে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র। গভীর রাতে তারা ছক কষছিল ডাকাতির। কিন্তু সেই ছক বানচাল করল কোচবিহার‌ কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গোপন সূত্রের খবর সোমবার রাত আনুমানিক ১টা নাগাদ অভিযান চালায় তার। সেসময় ছয় যুবককে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি শহর সংলগ্ন টাকা গাছের বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনা জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুদের মামলা রুজু করে ইতিমধ্যেই আদালতে তোলা হয়েছিল। মহামান্য আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সমগ্র বিষয়টি বিশদে খতিয়ে দেখছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

2024-09-17

দিনহাটা

প্রচারে লোক পাবে না বিরোধীরা! প্রার্থী হয়ে হুংকার সঙ্গীতার

Sunday : উত্তরের হাওয়া: ২০ অক্টোবর: "সিতাই উপনির্বাচনে বিরোধীরা প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাবে না।" সংগীতা রায় বর্মা বসুনিয়া। সিতাই উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েই হুংকার সংগীতার। হৃদয় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য বিরোধীরা লোক খুঁজে পাবে না। শুধু তাই নয় অন্ততপক্ষে দুই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাও দাবি করলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সহধর্মিনী, সঙ্গীতা রায়। এমনটাই দাবি ছিল সিতাই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের। এদিন প্রার্থী পদ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। যদিও বা আগে থেকেই প্রস্তুতি সভা থেকে প্রচার শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী যেই হোক তাতে কোন অসুবিধা ছিল না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের, কিন্তু সঙ্গীতা রায় প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন পেল শাসক দল। যদিও বা এর আগেই করা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার সরাসরি বিরোধীদের শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন,‘রামই হোক বামই হোক বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল, যারা পশ্চিমবঙ্গে শিড়দাঁড়ার ব্যবসা করছেন এবারের উপনির্বাচনে তাঁদের শিড়দাঁড়া এমনভাবে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে যে সারা জীবন লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হবে।’ আগামী ১৩ ই নভেম্বর নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তিন থেকে চারটি রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কেউ উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখাবে না সিতাই উপনির্বাচনে। কারণ ২০১১ সাল থেকেই সিতাই বিধানসভায় নিজেদের ঘাঁটি গেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে ২০১৬ এবং ২০২১ দুই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল তৎকালীন বিধায়ক তথা বর্তমান কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। রেকর্ডসংখ্যক ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি শাসক দল তৃণমূলের। সব মিলিয়ে উপনির্বাচন হলেও সিতাই উপনির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সঙ্গীতা রায় বলেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত বুথে আমরা পিছিয়ে ছিলাম সবার আগে সেইগুলিকে হাতে আনার চেষ্টা করা হবে। মহিলা শক্তি এবং মহিলা সংগঠনকে কাজে লাগানো হচ্ছে। একই সাথে যুব এবং মাদার একত্রিত হয়ে উপনির্বাচন ভুলে গিয়ে নির্বাচনের মতই লড়াই করবে নির্বাচনের ময়দানে।

চারদিন ধরে নিখোঁজ এক নাবালিকা মেয়েকে খুঁজে বের করার দাবিতে পথ অবরোধ

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ১৭ সেপ্টেম্বর: চারদিন ধরে নিখোঁজ এক নাবালিকা মেয়ে মহামায়া পাট মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে দিনহাটা - সাহেবগঞ্জ রাস্তা অবরোধ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে দিনহাটা শহরের সাহেবগঞ্জ রোড মহামায়া পাট সংলগ্ন মোড় এলাকায় পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসীদের অভিযোগ, চারদিক ধরে নিখোঁজ এক নাবালিকা। সেই নাবালিকা কে উদ্ধারের জন্যে কোনো পদক্ষেপ করছে না দিনহাটা থানার পুলিশ। এদিন সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অবরোধে সামিল হয়েছে তারা। তাদের দাবি অবিলম্বে তাদের নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে এনে দিতে হবে। পরবর্তী সময়ে দিনহাটা থানার আইসি এসে অবরোধকারী দের সাথে কথা বললে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুজনকে গ্রেফতার করলো দিনহাটা থানার পুলিশ

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ১২ সেপ্টেম্বর: ফের বড়সড় সাফল্য পেল দিনহাটা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি উদ্ধার করল আগ্নেয়াস্ত্র। দিনহাটা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্মল সিঙ্গেল শুটার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা ছাড়াও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। দুজনের মধ্যে একজন যুবক ও অন্য একজন নাবালক। এক যুবকের নাম পঙ্কজ দাস তার বাড়ি পাখি হাগা এলাকায়। এই যুবকের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে কি কারনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছিলেন তারা তা এখনো স্পষ্ট নয় গোটা বিষয়টি খতিয়ে দিনহাটা থানার পুলিশ।

অবৈধ কাফ সিরাপ সহ কালমাটিতে গ্রেপ্তার যুবক

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১১ সেপ্টেম্বর: গভীর রাতে মোটরসাইকেলে চেপে বামনহাট থেকে কালমাটির দিকে যাচ্ছিলেন দুই যুবক। সন্দেহ হওয়াতেই পুলিশ পিছু নেয় তাঁদের। কিছুক্ষন ধাওয়া করার পর অবশেষে বাইক চালককে আটক করতে সক্ষম হলেও, পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বাইক সওয়ারি যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আটক হওয়া যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালিয়ে মেলে ২৯৭ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেন্সিডিল। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ২ ব্লকের বামনহাট ২ গ্রামপঞ্চায়েতের কালমাটি সংলগ্ন বামনেরটারি এলাকায়। ঘটনায় মনিরুল শেখ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাহেবগঞ্জ থানার ওসি অজিত কুমার শাহ জানিয়েছেন, “গোপন সুত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল। বাইকে দুজন ছিলেন, একজন পালিয়ে যায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কার্যত তিনদিকে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ঘেরা বামনহাট ২ গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তির্ন এলাকা। শিক্ষা ও অর্থনীতির দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে প্রান্তিক এই এলাকাগুলি। অনুন্নত এই এলাকার বহু যুবক ও কিশোর অবৈধ কাফ সিরাপ খেয়ে নেশায় মগ্ন হন। এমনকি সীমান্ত লাগোয়া এলাকা হওয়ার গাঁজা সহ বিভিন্ন অবৈধ মাদক, বেআইনি কাফ সিরাপ সহ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরাচালানকেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রবণতাও এলাকায় নতুন নয়। এমন পরিস্হিতিতে এলাকার কিশোর ও যুবকদের বিপথ থেকে ফেরাতে পুলিশী তৎপরতার পাশাপাশি প্রান্তিক এলাকায় সচেতনতামুলক প্রচারও করা প্রয়োজন বলে মতে স্থানীয় সচেতন মহলের। যদিও পুলিশ এবিষয়ে সচেষ্ট বলে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে।

কোচবিহার

প্রচারে লোক পাবে না বিরোধীরা! প্রার্থী হয়ে হুংকার সঙ্গীতার

Sunday : উত্তরের হাওয়া: ২০ অক্টোবর: "সিতাই উপনির্বাচনে বিরোধীরা প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাবে না।" সংগীতা রায় বর্মা বসুনিয়া। সিতাই উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েই হুংকার সংগীতার। হৃদয় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য বিরোধীরা লোক খুঁজে পাবে না। শুধু তাই নয় অন্ততপক্ষে দুই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাও দাবি করলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সহধর্মিনী, সঙ্গীতা রায়। এমনটাই দাবি ছিল সিতাই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের। এদিন প্রার্থী পদ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। যদিও বা আগে থেকেই প্রস্তুতি সভা থেকে প্রচার শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী যেই হোক তাতে কোন অসুবিধা ছিল না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের, কিন্তু সঙ্গীতা রায় প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন পেল শাসক দল। যদিও বা এর আগেই করা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার সরাসরি বিরোধীদের শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন,‘রামই হোক বামই হোক বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল, যারা পশ্চিমবঙ্গে শিড়দাঁড়ার ব্যবসা করছেন এবারের উপনির্বাচনে তাঁদের শিড়দাঁড়া এমনভাবে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে যে সারা জীবন লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হবে।’ আগামী ১৩ ই নভেম্বর নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তিন থেকে চারটি রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কেউ উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখাবে না সিতাই উপনির্বাচনে। কারণ ২০১১ সাল থেকেই সিতাই বিধানসভায় নিজেদের ঘাঁটি গেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে ২০১৬ এবং ২০২১ দুই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল তৎকালীন বিধায়ক তথা বর্তমান কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। রেকর্ডসংখ্যক ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি শাসক দল তৃণমূলের। সব মিলিয়ে উপনির্বাচন হলেও সিতাই উপনির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সঙ্গীতা রায় বলেন, বিগত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত বুথে আমরা পিছিয়ে ছিলাম সবার আগে সেইগুলিকে হাতে আনার চেষ্টা করা হবে। মহিলা শক্তি এবং মহিলা সংগঠনকে কাজে লাগানো হচ্ছে। একই সাথে যুব এবং মাদার একত্রিত হয়ে উপনির্বাচন ভুলে গিয়ে নির্বাচনের মতই লড়াই করবে নির্বাচনের ময়দানে।

মহালক্ষীর পূজোর প্রস্তুতি শুরু কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৬ অক্টোবর: কোচবিহার রাজ পরিবারের মহালক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে৷ মদনমোহন বাড়ির কাঠামিয়া মন্দিরে শুরু হয়েছে দেবী মূর্তি নির্মাণের কাজ। রাজ পুরোহিত দিনেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, কোচবিহার মহারাজার নিয়ম নীতি মেনে চার হাতের লক্ষ্মীপূজো হবে একই গরিমায়। আজ রাত নটায় বসবে পুজো। রাজ আমলের রীতি মেনে আজও কোচবিহার রাজবাড়িতে মহালক্ষ্মীর পুজো হয়ে আসছে৷ দেবীমূর্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ এবারেও মহালক্ষ্মী মূর্তি তৈরি করছেন প্রভাত চিত্রকার। মৃৎশিল্পী প্রভাত চিত্রকর বংশ পরম্পরায় বিগত ৩৩ বছর থেকে দেবী মহালক্ষ্মী চতুর্ভুজা মূর্তি তৈরি করে আসছেন৷ মৃৎশিল্পী প্রভাত চিত্রকর জানিয়েছেন যে, অন্যান্য মা লক্ষ্মীর মূর্তি থেকে এই মূর্তি একেবারেই আলাদা। প্রত্যেকের ঘরে গৃহ লক্ষী পূজিত হন যার বাহন থাকেন পেঁচা। মদনমোহন মন্দিরের কাঠামিয়া মন্দিরে মহালক্ষ্মীর মূর্তির চারদিকে চারটি হাতি দাঁড়িয়ে থাকেন৷ মহালক্ষী দেবীর গায়ের রং রক্তবর্ণা মহালক্ষীর সাথে গজরাজে বিরাজমান ইন্দ্র দেবের পূজা হয় এদিন। দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পুজোয় বলি দেওয়া হবে কবুতর৷ বলি দিয়ে মহালক্ষ্মী পুজো রাজ আমল থেকেই হয়ে আসছে৷ রাজ পরিবারের মহালক্ষ্মী পুজোর পর অঞ্জলি দিতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ৷ বহু মানুষ ভোগ দিয়ে যান পুজোয়৷ রাজ আমলের রীতি মেনে পূজা হয় কোচবিহারের প্রায় ৪০০ বছর পুরনো রাজ পরিবারের মহালক্ষ্মীর। এক সময় কোচবিহারের রাজপ্রাসাদের এই মহালক্ষীর পূজো হলেও বর্তমানে এই মহালক্ষ্মী পুজো হয় কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে। কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে একসময় রাজবাড়ীতেই মহালক্ষ্মীর পুজা হত। স্বয়ং মহারাজা ও রাজপরিবারের সদস্যরা অংশ নিতেন সেই পূজাতে। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্ব পালন করে কোচবিহার দেবত্র ট্রাস্টবোর্ড। রাজা বা রাজার রাজত্ব না থাকলেও সেই পুরনো নিয়ম মেনেই মহালক্ষ্মী পুজো আজও হয় ধুমধাম করেই। লক্ষ্মী পুজোর দিন পুজো দেখতে আজও ঢল নামে ভক্তদের। লক্ষ্মী পূজার দিন এই মহালক্ষ্মী পুজোতে জোড়া পায়রা নয়তো পাঠা বলি দিয়ে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে এই রাজ আমলের পূজায়। কোচবিহারের রাজ পুরোহিত দিনেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, রাজ আমলের সমস্ত নিয়ম মেনেই এই মহালক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই মহালক্ষীর পূজো প্রায় ৪০০ বছর পুরনো। একসময় রাজবাড়ীতেই এই মহালক্ষ্মীর পূজা হতো। সেই সময় মহারাজা নিজেই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করতো। বর্তমানে মদনমোহন মন্দিরে সেই রাজ আমলের রীতি মেনেই পুজো হয়। বহু ভক্ত লক্ষ্মী পুজোর দিন মহালক্ষীর পূজা করতে মদনমোহন মন্দিরে আসেন। ভোগ নিবেদন এবং অঞ্জলির মাধ্যমে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে চলে এই পুজো।

মহিলার উপরে কোন রকম আক্রমণ হলে চুপ থাকবে না পুলিশ। উদাহরণ হয়ে থাকলো মেখলিগঞ্জ থানা।

Friday : উত্তরের হাওয়া, ২০সেপ্টেম্বর: মহিলাদের উপরে কোন ধরনের অত্যাচার বা তাদের সম্মানহানি হলে অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয়ে উঠবে পুলিশ প্রশাসন, এমনটাই নির্দেশ কোচবিহার জেলা পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছে প্রতিটা থানায়। তারই উদাহরণ হয়ে থাকলো কোচবিহার মেখলিগঞ্জ থানা। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল প্রায় ছ মাস ভিন রাজ্যে কাজ করে এক মহিলা তার বাড়িতে ফিরে আসে, তার উপরে চরিত্র খারাপ হওয়ার অভিযোগ এনে জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরায় বলে অভিযোগ এলাকার কিছু বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় সেই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ অভিযোগ করে মহিলার স্বামী। তদন্তের স্বার্থে মহিলা এবং তার স্বামীর নাম উল্লেখ করেনি পুলিশ প্রশাসন। অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জন অভিযুক্তর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। তাদের চৌদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মহাকুম আদালত। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে কোনরকম রিয়াদ করবে না পুলিশ এমনটাই জানান মাথাভাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই। তিনি বলেন পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে, আমরা শুধু অভিযোগের অপেক্ষায় থাকি। অনেক সময় অভিযোগ হয় না তাই আমরা আমাদের কাজ করে উঠতে পারি না। কোথাও কোনো রকম অসুবিধা হলে পুলিশের কাছে আসুন। পুলিশ আপনার বন্ধু শত্রু নয়। আইনি পদ্ধতিতে পুলিশ যথাসম্ভব সহযোগিতা করবে।

ডাকাতির ছক বানচাল করল পুলিশ গ্রেপ্তার ছয় যুবক

Tuesday : উত্তরের হওয়া, কোচবিহার, ১৭ সেপ্টেম্বর: ডাকাতির উদ্দেশ্যে কোচবিহার শহর লাগোয়া পিলখানা এলাকায় জড়ো হয়েছিল ৬ যুবক। তাদের সাথে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র। গভীর রাতে তারা ছক কষছিল ডাকাতির। কিন্তু সেই ছক বানচাল করল কোচবিহার‌ কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গোপন সূত্রের খবর সোমবার রাত আনুমানিক ১টা নাগাদ অভিযান চালায় তার। সেসময় ছয় যুবককে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি শহর সংলগ্ন টাকা গাছের বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনা জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুদের মামলা রুজু করে ইতিমধ্যেই আদালতে তোলা হয়েছিল। মহামান্য আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সমগ্র বিষয়টি বিশদে খতিয়ে দেখছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

চার ভিন রাজ্যের যুবকসহ উদ্ধার প্রচুর গাঁজা

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ১২ সেপ্টেম্বর: ভিন রাজ্য থেকে গাজা পাচার করতে এসে কোচবিহারে আটক হল চার ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শীতলকুচি থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার নাম করে এই চার গাঁজা ব্যবসায়ী শীতলকুচিতে এসেছিল। তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গাড়ি সার্চ করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালায় পুলিশ। সিটের নিচে সার্চ করার সময় ১৫ . ৮৩৫ কেজি গাজার মত পদার্থ পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে এন ডি পি এস আইনের অধীনে মামলা রুজু হয়। তদন্তের মাধ্যমে জানা যায় উদ্ধার হওয়া সামগ্রী গাঁজা ছিল। গ্রেপ্তার হয় শেখনাথ যাদব, সোনু যাদব এরা দুজনেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। সনু কুমার এবং রাজু শর্মা বিহারের বাসিন্দা। এর থেকে আরো একবার প্রমাণিত ভিন রাজ্য থেকে কোচবিহারে গাঁজা চাষ এবং তা পাচার করার চক্র চলছে। কোচবিহার মাথাভাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই জানান, চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গাঁজা সমেত। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে তুললেন বিচারক আট দিনের পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এই গাঁজা কোথায় পাচার হচ্ছিল এবং কারা উৎপাদন করছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

রাজ্য

পুজোর ঠিক আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য বড় সুখবর

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ২১আগস্ট: পুজোর ঠিক আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য বড় সুখবর। বেড়ে গেল এককালীন বোনাস। শুধু সিভিকরাই নন, একই সুবিধা পেতে চলেছেন ভিলেজ পুলিশ। রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। এরই মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস বাড়াল রাজ্য সরকার। এককালীন এই বোনাস প্রতি বছর পুজোর আগে পেয়ে থাকেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। আগে যে বোনাসের পরিমাণ ছিল ৫৩০০ টাকা। তা এখন হল ৬০০০ টাকা। এই মাত্রাতেই এবারের এড-হক বোনাস বাড়াল নবান্ন। যদিও প্রশাসন বলছে, বোনাস বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। বোনাস বাড়ানোর জন্য ফাইল অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে এসেছে অর্থ দফতরের সবুজ সংকেত। সোজা কথায়, নতুন কাঠামোয় বোনাস মঞ্জুর হতেই এদিন সেটির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, এবার পুজো বোনাস বাবদ ৬০০০ টাকা করে পাবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এতদিন তারা বোনাস বাবদ পেতেন ৫৩০০ টাকা। অর্থাৎ সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস বাড়ল ৭০০ টাকা। বুধবার নবান্ন থেকে জারি বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

৩০ শতাংশও টাকা খরচা করতে পারেনি বিজেপি বিধায়কেরা। খানিকটা এগিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।

Saturday : উত্তরের হাওয়া, ১০ অগাষ্ট: "এলাকায় না আসলে, কোথায় কোন জায়গায় টাকা খরচ করতে হবে সেটা না জানলে, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ না করলে, গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদের সাথে কথা না বললে কোথা থেকে টাকা খরচ করবেন বিধায়কেরা।" কোচবিহারের বিজেপি বিধায়কদের প্রতি এমনটাই কটাক্ষ মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়। বিধায়ক এলাকা উন্নয়নের তহবিলের টাকা খরচ করতে পারছেন না কোচবিহারের অনেক বিধায়ক। লক্ষ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে তহবিলে। বিরোধী বিজেপির বিধায়করা এই তালিকায় রয়েছেন। টাকা খরচে তিন বছরে প্রাপ্য টাকার ৩০ শতাংশও খরচ করতে পারেননি বিজেপি বিধায়ক বরেন বর্মন ও মিহির গোস্বামী। এই তুলনায় খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বিধায়কদের পাঁচ বছরে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তবে প্রতি কিস্তিতে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা করে পান তাঁরা। এই টাকার ৩০ শতাংশ খরচ করলে পরবর্তী কিস্তির টাকা দেওয়া হয়। ২০২১ সালের মে মাসে বর্তমান সরকার গঠিত হয়। তারপর তিন বছরে কোচবিহারের বিধায়করা কয়েক দফায় টাকা পেয়েছেন। তার মধ্যে সময়মতো খরচ করতে না পারার জন্য অনেকে আবার যতটা বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল সেটা পাননি। জেলায় সবমিলিয়ে তৃণমূলের তিনজন বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ছয়জন। তার মধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে তাঁদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচের যে হিসেব চলতি ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা তাঁরা খরচ করতে পারেননি। টাকা খরচের নিরিখে সবচাইতে বেশি পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন। শীতলকুচির এই বিধায়ক সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত পেয়েছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে মাত্র তিনি ৬টি প্রকল্পের কাজ করতে পেরেছেন। তাতে খরচ হয়েছে ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৬৪ টাকা। ৯০ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৩৬ টাকা পড়ে রয়েছে। পাওনা টাকার মাত্র ২৪.৮৪ শতাংশ খরচ করতে পেরেছেন তিনি। তারপরই রয়েছেন নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। ১০টি প্রকল্পে খরচ করেছেন ৩১ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৪১ টাকা। ৮৮ লক্ষ ১২ হাজার ৮৫৯ টাকা পড়ে রয়েছে। পাওনা টাকার মাত্র ২৬.৫৬ শতাংশ টাকা খরচ করতে পেরেছেন। বিজেপি বিধায়ক বরেনের অভিযোগ, তিনি কাজ করতে পারছেন না। তাই টাকা পড়ে রয়েছে। উদয়ন গুহ বলছেন, ‘কাজ চলছে। ইউসি হয়তো জমা পড়েনি।’অপরদিকে বিধায়ক মিহির গোস্বামী এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।

বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য

Monday : উত্তরের হাওয়া, ১৫জুলাই: বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ ধলপল এক নম্বর অঞ্চলের চন্ডিরহাট এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। পরবর্তী সময়ে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনা ঘটিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এই পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ বিজেপির। এবার দলীয় কার্যালয়ে সামন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেসের।

করোনেশন ব্রিজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল চলাচল

Monday : উত্তরের হাওয়া, ১জুলাই: করোনেশন ব্রিজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল চলাচল। আবার ধসের কবলে পড়ল শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাতায়াতের রাস্তা। শুক্রবার থেকে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। আর শনিবার সকাল থেকেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামতে দেখা গেল। লিখুভির এবং ২৮ মাইলের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে সেবকের করোনেশন সেতু সংলগ্ন এলাকায় ধসের কারণে ওই জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। গত বুধবারই শিলিগুড়ি-গ্যাংটক যাতায়াতের পথে ধস নেমেছিল। এখনও টানা বৃষ্টি চলছে পাহাড় থেকে সমতলে। সে বারও লিখুভিরের কাছেই ধস নেমেছিল। পাহাড় বেয়ে বিশাল পাথর জাতীয় সড়কের উপর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় সড়কের দুই পাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে আবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। এর আগে তিস্তার জল বাড়তে শুরু করায় তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংগামী রাস্তা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শিলিগুড়িতে মহানন্দা নদীর জলস্তরও বেড়েছে। জাতীয় সড়ক না-খোলা পর্যন্ত গাড়িগুলিকে লাভা গোরুবাথান রুট হয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

দেশ

স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পঞ্চাশ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল পঁচাত্তর হাজার টাকা

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২৩ জুলাই: অপরিবর্তিত রইল আয়কর, আয়কর কাঠামোর আরও সরলীকরণের আশ্বাস কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। বেতনভোগী সাধারণ নাগরিক এখনও পর্যন্ত নতুন করব্যবস্থাকে সেভাবে গ্রহণ করেননি। বিশেষ করে বেতন পান যাঁরা। তাই ২৫ লক্ষের বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে কেনাকাটাও বাড়বে, সঙ্গে মানুষ সঞ্চয়ের দিকেও এগেবোন বলে ধারণা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। নতুন কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া এমন কিছু পরিবর্তন করা হল যাতে, নতুন আয়কর কাঠামোয় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা লাভ করতে পারবেন করদাতারা। নতুন আয়কর কাঠামোয় কর জমা দিলে , ৩ থেকে ৭ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ৫% আয়কর দিতে হবে। ৭ থেকে ১০ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ১০% আয়কর দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ১৫% আয় দিতে হবে। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে ২০% আয়কর দিতে হবে। ১৫ লক্ষের বেশি আয়ে ৩০% কর। পুরনো ট্যাক্স কাঠামোয় আলাদ করে কোনও পরিবর্তনও করা হল না, সুরাহা করা হল না। সেইসঙ্গে ঘোষণা, সময়ে TDS না দিলে অপরাধ নয়। এছাড়া ক্যাপিট্যাল গেনে ছাড় ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হল ২.২৫ লক্ষ। বাজেটে ই-কমার্সের উপর TDS কমানোর ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। আয়কর কাঠামোর আরও সরলীকরণের আশ্বাস দিলেন সীতারমণ। দেরিতে আয়কর জমা দিলে তুলনায় কম জরিমানা। জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী।

এডিজি বিএসএফ গুয়াহাটি সীমান্তের অধীনে কোচবিহার আন্তর্জাতিক সীমান্তের অপারেশনাল প্রস্তুতির পর্যালোচনা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ২৯ মার্চঃ শ্রী রবি গান্ধী, ADG, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের বিএসএফ গোপালপুর সেক্টর কোচবিহার সফরের সময়, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিএসএফ-এর অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন আজ। এডিজি বিএসএফ সেক্টর হেড কোয়ার্টার বিএসএফ গোপালপুর পরিদর্শন করেন যেখানে তাকে এলাকার বর্তমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তিনি বিএসএফ-এর গোপালপুর ও কোচবিহার সেক্টরের দায়িত্বের এলাকায় বিদ্যমান নদীপথ এবং বেড়িবিহীন সীমান্তের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন। শ্রী রবি গান্ধী, ADG সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন মোতায়েন করা বর্ডারম্যানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সীমানা রক্ষায় তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং তাদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন।

গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ২১মার্চ: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মদ নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির রাজনীতিতে এই ঘটনা ঘটল। আর স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। সূত্রের খবর আজ সন্ধে ৬টা নাগাদ কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। তারপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা শুরু করে তাঁরা। কেজরিওয়ালকে বারবার হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যেতে চাইছিল ইডি। কিন্তু তাতে রাজি হননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে খবর পেয়েই কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে ভিড় করতে শুরু করেন আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকরা। ২ ঘণ্টা কেজরিওয়ালকে জেরা করার পরেই তাকে গ্রেফতার করে ইডি।

ফিলিস্তিনের সমর্থনে কোচবিহারে ঐতিহাসিক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৮ নভেম্বর: ফিলিস্তিনের নিপিড়িত মানুষের পক্ষে ও দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইজরায়েল যেভাবে অনবরত ফিলিস্তিনের উপর হামলা চালাচ্ছে ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে কোচবিহারে এক ঐতিহাসিক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনের বন্ধুকামী মানুষ হিসেবে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে শান্তিকামী মানুষদের উপস্থিতি জন প্লাবন তৈরি করে। উক্ত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চ তথা নিপ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির হোসেন, নিপ্রমের গঠনতন্ত্রের রচিয়তা কাউসার আলম ব্যাপারী, রাজনীতি বিদ সম্রাট হক, ও আব্বাস আলী। নিপ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির হোসেন বলেন _" আমরা অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাই ও ইজরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক। ও আমেরিকা ও ব্রিটিশদের মদত পুষ্ট ইজরায়েল নিপাত যাক। ও আমাদের দেশের সরকার অবিলম্বে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াক।

বিশ্ব

খেলা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২জানুয়ারি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা হলো। মঙ্গলবার শহরের পাইওনিয়ার ক্লাব প্রাঙ্গনে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজে সূচনা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পাশাপাশি বয়েজ ক্লাব এলাকা থেকে চড়ক মেলা মাঠ পর্যন্ত হাইড্রেন তৈরির কাজের সূচনাও হয় এদিন। জানা গেছে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৯৬ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই দুটি প্রকল্প উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায়। এদিনের অনুষ্ঠানে সেখানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ ভট্টাচার্য, দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর মাহেশ্বরী, ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী, পাইওয়নিয়ার ক্লাবের সভাপতি ডঃ অমল বসাক সহ আরো অন্যান্যরা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, ছয় মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম। খেলাধুলার বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা মিলবে সেখানে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এই মিনি স্টেডিয়াম পুরোপুরি ভাবে তৈরি করে দিলেও দেখভালের দায়িত্বে থাকবে ক্লাব কতৃপক্ষের এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। বলা বাহুল্য, ১৯৮৮ সালে দিনহাটা শহর সংলগ্ন পুঁটিমারিতে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ৬ একর জমি কেনা হয়। তখন রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার। রাজ্যের যুব কল্যাণ দফতরের দেওয়া আর্থিক বরাদ্দে ওই জমি কেনা হয়। সরকারি নিয়ম মেনেই মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা এবং দিনহাটা–১ পঞ্চায়েত সমিতির মালিকাধীন বলে জমির ‘দলিল’ তৈরি হয়।তারপর প্রায় ৩৪ বছরেরও বেশি সময়কেটে গিয়েছে। সীমানা পাঁচিল ছাড়া স্টেডিয়াম তৈরির কিছুই হয়নি। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হলেও কেউই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আদৌ কি সেই স্টেডিয়াম তৈরি হবে সেই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে ঠিক তখনই দিনহাটা শহরের বুকে মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কাজের সূচনা হলো এদিন। পুটিমারি সংলগ্ন এলাকায় সেই স্টেডিয়ামের বিষয় নিয়ে এদিন মন্ত্রী উদয়ন গুহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্টেডিয়াম আর মিনি স্টেডিয়ামের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। সে সময় যারা সেখানে স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা করেছিলেন সেই সময় হয়তো পরিকল্পনার খানিকটা খামতি ছিল। সেখানে গাড়ি পার্কিং, অ্যাপ্রোচ, প্রবেশ পথের কোনরকম চিন্তাভাবনা হয়নি। সব মিলিয়ে একটা ঘাটতি থেকে গেছে। তবে মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরি ক্ষেত্রে সব কিছু ব্যবস্থায় থাকছে বলেও তিনি জানান। স্বাভাবিকভাবেই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম দিনহাটায় তৈরি হচ্ছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া এবং ক্রীড়া প্রেমীরা অত্যন্ত খুশি এমনটাই জানা গেছে।

তানিয়াকে সম্বর্ধনা দিল কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৪জুলাই: কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধিত করা হয় ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্যা কুমারী তানিয়া কামতি কে। উল্লেখ্য দিনহাটার মেয়ে তানিয়া কামতি একজন অতি সাধারণ ট্যাক্সি ড্রাইভার এর মেয়ে। নিজের অধ্যবসায় ও সাধনার ফলে আজকে সে জাতীয় ফুটবল দলে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত সাফ কেমসে ভারতীয় মহিলা ফুটবল এর হয়ে অংশ নিয়েছিল তানিয়া কামতি। এই আন্তর্জাতিক স্তরের খেলায় তানিয়ার পারফরম্যান্স দিনহাটা কোচবিহার এমনকি পশ্চিমবাংলা তথা ভারতের মান উঁচু করে। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কোচবিহারের স্টেডিয়াম সংলগ্ন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সভাকক্ষে তাকে ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়। এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত দত্ত। সহ-সভাপতি অমলেশ সরকার, সহ-সভাপতি তপন ঘোষ এবং সহ-সভাপতি অশোক হাজরা।

রাজনীতি

উন্নয়ন হাতিয়ার! উপনির্বাচন সিতাই বিধানসভা।

Sunday : উত্তরের হাওয়া, ১১আগস্ট: "প্লাস্টিক বর্জিত সিতাই ব্লক। বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়ে গেছে ব্লকে। ম্যারেজ হল থেকে ৭০ শতাংশ পাকা রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সত্যিই স্বনির্ভর হয়েছেন ব্লকে। তাই উন্নয়নকে সামনে রেখেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের মত বিধানসভা উপনির্বাচনেও নির্বাচনী ময়দানে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র। দাবি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা বসুনিয়ার।" সিতাই বিধানসভা, ২০১১ সালে জোট থাকার কারণে কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছিল কেন্দ্রটি। তারপর ২০১৬ এবং ২০২১ দুইটি বিধানসভায় পরপর বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে এই কেন্দ্র শাসক দল তৃণমূলের হাতে। এমনকি ২০১৮ সালে লোকসভা নির্বাচনে যেখানে গোটা জেলায় ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সেইখানে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়েছিল শাসকদলের পক্ষে সিতাই বিধানসভা। ২০২৪ এ তো কথাই নেই, নবনির্বাচিত কোচবিহারের সাংসদ হিসেবে কোচবিহার পুনরুদ্ধার করেছেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসনিয়া। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের। আর এই উপর নির্বাচনের সব থেকে বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াতে চলেছে উন্নয়ন। লোকসভা নির্বাচনে নিরিখেও উন্নয়ন ছিল সবার আগে। বিশেষ করে মহিলা উন্নয়ন। একদিকে রাজ্য সরকারের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী। অন্যদিকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক সচেতনতামূলক প্রচার এবং জনসংযোগ এটাই মূল হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে। এমনটাই মূলত দাবী করে বলছেন পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতি জগদীশ বাবুর অর্ধাঙ্গিনী সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া। তার কথা অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে গোটা ব্লক জুড়ে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ পাকা রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ তৈরি করার ক্ষেত্রে অর্থাৎ প্লাস্টিক বর্জিত ব্লক তৈরি করার ক্ষেত্রে ৬০% এগিয়ে গেছে পঞ্চায়েত সমিতি। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পঞ্চায়েত সমিতির সচেতনতামূলক কর্মসূচি। সঙ্গীতা দেবী রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী এবং রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য ব্লকে বাল্যবিবাহ যেমন একদিকে বন্ধ হয়েছে তেমনি অন্যদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে নারী শিক্ষার প্রসার। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত সভা গুলিতে এবং জনসংযোগ মূলক কর্মসূচি গুলিতে প্রচার করা হচ্ছে কোন অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি অভিভাবকরাও সচেতন হয়েছেন, তিনি দাবী করে বলেন অভিভাবকদের কথায়, যেখানে রাজ্য সরকার পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্যর পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সে ক্ষেত্রে কেন মেয়েদের পড়াবো না। মেয়েদের বিয়ে ১৮ বছরের পরেই হবে। মূলত একসময় এই এলাকা অর্থাৎ সিতাই সীমান্তবর্তী এলাকা ছিল বাল্যবিবাহ এবং মেয়ে পাচারের অন্যতম স্বর্গরাজ্য। যা বর্তমানে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে বলে দাবি সঙ্গীতা দেবীর। একইসঙ্গে একটি ম্যারেজ হল তৈরি করা হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে কম খরচে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। হাসপাতালের উন্নয়ন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সড়ক বাতি এবং সেই সাথে জল নিকাশি ব্যবস্থার সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে বিগত এক বছরে। তাই এই উন্নয়নের বার্তা এবং জনসংযোগ তার উপরে ভরসা করেই আগামী দিনে উপ-নির্বাচনের বিতরণী পার হতে চলেছে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র। শুধু তাই নয় এলাকাবাসী এবং রাজনৈতিক মহলের দাবি জগদীশ বাবুর অর্ধাঙ্গিনী সঙ্গীতা বসুনিয়া উপনির্বাচন এবং ২০২৬ মূল নির্বাচন এর ক্ষেত্রেও অন্যতম প্রার্থী পদের দাবিদার। তবে তিনি প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য না করে বলেছেন, দল এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নেবেন তার সঙ্গেই থাকবে গোটা সিতাই।

বিজেপির দখলে থাকা আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতে এলো তৃণমূলের

Sunday : উত্তরের হাওয়া, ১১ আগস্ট: বিজেপির দখলে থাকা ফের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যত দখল নিল তৃণমূল। মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্য জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেয়। এরফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। বিজেপির ১১। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা ছিল ২৩। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১০ ও বিজেপির পেয়েছিল ১৩। এদিন বিজেপির থেকে দুজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন, ফলে বর্তমানে তৃণমূল ১২ ও বিজেপি ১১ এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্য মৌমিতা অধিকারী দাস বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতেই তৃণমূলে যোগদান।‘ জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘এদিন রুইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে এল। আগামীতে আরও গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে আসবে।‘

ভোট পরবর্তী হিংসায় ফের শিরোনামে দিনহাটা

Saturday : উত্তরের হাওয়া দিনহাটা, ২০ এপ্রিল: ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজনৈতিক হিংসায় ফের নাম জড়াল দিনহাটা বিধানসভার। শুক্রবার রাতে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার কিশামতদশগ্রামের টিয়াদহে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী সুকুমার মালির বাড়িতে ভাঙচুর ও ওই তৃণমূল কর্মীর বাবা নিবারন মালির দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী হেমতি মালির অভিযোগ, গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ বাড়িতে নাবালক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ছিলাম। স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সেসময় বাড়ির টিনের চালে ক্রমাগত শিল ছোড়া হয়। ভয় পেয়ে পাশেই আত্মীয় বাড়িতে যাই। সেসময়ই বিজেপির লোকেরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শ্বশুর মশাই এগিয়ে আসতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার সংযোজন, ঘরে থাকা সোনার গয়না ও টাকাও লুঠপাট হয়েছে। বাজনা বাজিয়ে সংসার চলে। সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করার খেসারত দিতে হল। তৃণমূলের কিশামতদশগ্রাম অঞ্চল সভাপতি জগদীশচন্দ্র রায়ের মন্তব্য, বিজেপি ওখানে হারবে বলেই সক্রিয় ওই কর্মীকে টার্গেট করা হয়েছে। আমাদের দলীয় নেতৃত্বও এলাকায় যাবেন। যদিও বিজেপি নেতারা হিংসার ক্ষেত্রে বিজেপির যোগ অস্বীকার করেছেন ও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা দাবী করেছেন। এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় গতকাল রাত থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ঘটনাস্হলে পৌছে পরিস্হিতি খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এরপর শনিবার আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।

কোচবিহারে যাবেন না বোসকে অনুরোধ নির্বাচন কমিশনের

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৭এপ্রিল: উত্তরবঙ্গে নির্বাচন চলার সময় রাজ্যপালকে সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন রাজ্যের রাজ্যপাল যদি নির্বাচনক্ষেত্রে উপস্থিত থাকেন, তবে তা ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রথম দফার নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন লোকসভা কেন্দ্র-জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, ভোট চলাকালীন তিনি নিজে কোচবিহারে থাকবেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন এলাকার পরিস্থিতি। তবে কমিশন জানিয়ে দিল ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি এর ফলে লঙ্ঘিত হবে।

রাশিফল

লাইফস্টাইল




Follow us on                  

About Us
uttorerhawa, a pioneering digital platform, is revolutionizing the way citizens access news, information, and services.
Contact Us
Address : Dinhata, Cooch Behar
Call : 7076088024
WhatsApp : 7076088024
Email : uttorerhawa1985@gmail.com
Important Link
  • Disclaimer
  • Privacy Policy

  • Total Visitor : 378813