Tuesday 30 April 2024




সর্বশেষ













অবৈধভাবে দেশী মদ বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করলো দিনহাটা থানার পুলিশ

উত্তরের হাওয়া, ৩০ এপ্রিল: অবৈধভাবে দেশি মদ বিক্রি করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম করুন মোহন্ত। দিনহাটা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, এই ব্যক্তি অবৈধভাবে দেশি মদ বিক্রি করছিল। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে বিলেতি মদ ও দেশি মদ উদ্ধার করছে পুলিশ। এবারেও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে বেআইনি দেশি মদ বিক্রেতা করুন মহন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫২ বোতল বেআইনি দেশি মদ। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় বেআইনি মদের বিক্রি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর আগে একাধিকবার অবৈধ বেআইনি মদ খাওয়ার কারণে অনেকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে অবৈধ মদের কারবার ঠেকাতে নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। তারই এক নিদর্শন দেখা গেল দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অতর্কিত হানায় ওই বেআইনি মদ বিক্রেতা হতভম্ব হয়ে যায়। তার ফলেই পুলিশ তাকে বেআইনি দেশি মদের বোতলসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে। এইভাবে পুলিশের অভিযান চলতে থাকলে জেলায় বেআইনি মদের কারবার অনেকটাই বন্ধ হবে বলে সাধারন মানুষের আশা।

Tuesday

অবৈধভাবে দেশী মদ বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করলো দিনহাটা থানার পুলিশ

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৩০ এপ্রিল: অবৈধভাবে দেশি মদ বিক্রি করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম করুন মোহন্ত। দিনহাটা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, এই ব্যক্তি অবৈধভাবে দেশি মদ বিক্রি করছিল। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে বিলেতি মদ ও দেশি মদ উদ্ধার করছে পুলিশ। এবারেও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে বেআইনি দেশি মদ বিক্রেতা করুন মহন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫২ বোতল বেআইনি দেশি মদ। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় বেআইনি মদের বিক্রি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর আগে একাধিকবার অবৈধ বেআইনি মদ খাওয়ার কারণে অনেকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে অবৈধ মদের কারবার ঠেকাতে নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। তারই এক নিদর্শন দেখা গেল দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অতর্কিত হানায় ওই বেআইনি মদ বিক্রেতা হতভম্ব হয়ে যায়। তার ফলেই পুলিশ তাকে বেআইনি দেশি মদের বোতলসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে। এইভাবে পুলিশের অভিযান চলতে থাকলে জেলায় বেআইনি মদের কারবার অনেকটাই বন্ধ হবে বলে সাধারন মানুষের আশা।

2024-04-30

আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজনকে গ্রেফতার দিনহাটা থানার পুলিশের

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৩০ এপ্রিল: আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজনকে গ্রেফতার করলো দিনহাটা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে রাজাখোড়া এলাকা থেকে অর্জুন মন্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করে দিনহাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন অভিযান চালিয়ে রাজাখোড়া এলাকার বাসিন্দা অর্জুন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে একটি ইম্প্রোভাইজড রিভলভার ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, ধৃত ওই ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে আরো একাধিক মামলায় জড়িত রয়েছে। মঙ্গলবার তাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে।

2024-04-30

আটকে কালভার্টের কাজ নাজেহাল বামনহাটের বাসিন্দারা

Sunday : উত্তরের হাওয়া, দিনহাটা, ২৮ এপ্রিল: সদ্য তৈরী করা কাঠের আসবাব পত্রে জল ঢেলে পরিষ্কার করছিলেন বছর চল্লিশের জোৎস্না মোদক। কারন জিজ্ঞাসা তাঁর ঝাঁঝালো উত্তর, “ধুলোয় জীবন অতিষ্ঠ। নিজেদের সর্দিকাশ তো লেগেই আছে। তার উপর যেদিন থেকে কালভার্টের কাজ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই দোকানে বানানো আসবাবপত্রেও ধুলোর আস্তরন পড়ে যাচ্ছে। সেগুলো জল দিয়ে পরিষ্কার না করলে বিক্রিই হচ্ছেনা। দ্রুত কালভার্টের কাজ শেষ করা হোক।” শুধু চল্লিশোর্ধ এই আসবাবপত্রের দোকানি নন, কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২ ব্লকের বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাহ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতেই নির্মীয়মান কালভার্ট নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তির সুর ধরা পড়ল স্হানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, নিত্যযাত্রী ও গাড়ির চালকদের গলায়। স্হানীয় এলাকায় খোঁজ নিতেই জানা গেল, মাস তিনেক আগে সাহেবগঞ্জ থেকে বামনহাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা সম্প্রসারনের কাজ হাতে নিয়েছে পূর্ত(সড়ক) দপ্তর। রাস্তা সম্প্রসারনের কাজের অংশ হিসেবেই বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় একটি কালভার্টের কাজও শুরু হয়। অভিযোগ, রাস্তার এক দিক বন্ধ করে কালভার্টের একটি অংশের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। অথচ প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কালভার্টের অপর অংশের কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সরু অংশ দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীদের। এতে ব্যস্ত সময়ে যানজট হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যদিন ধুলোর ঝড় সইতে হচ্ছে স্হানীয়দের। এমন পরিস্হিতিতে দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক করার দাবী উঠছে। যদিও সংশ্লিষ্ট রাস্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সুজয় হেমব্রমের দাবী, জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় বিষয়টি আটকে রয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। দিনহাটা মহকুমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সাহেবগঞ্জ-বামনহাট সড়ক। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই সড়ক মহকুমার সাহেবগঞ্জ ও দিনহাটার সাথে সীমান্তের চৌধুরিহাট, বামনহাট ২ সহ বিস্তির্ন এলাকার সংযোগ মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ন। এমনকি সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি এতে জড়িত। রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবী দীর্ঘদিনের। ভোটের আগে প্রায় ৬ কিমি দীর্ঘ রাস্তাটির সম্প্রসারনের জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পূর্ত দপ্তর। সেই কাজও চলছে জোরকদমে। সেই কাজের অংশ হিসেবেই তৈরী হচ্ছে কালভার্টটি। স্বভাবতই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবস্হিত কালভার্টটির কাজ শেষ না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। স্হানীয় বাসিন্দা প্রভাত সেনের অভিযোগ, ধুলোর চোটে রাস্তায় বেরোনো যাচ্ছেনা। ঘরের দরজা জানালাও বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করা হোক। ধুলো নিয়ন্ত্রনে রাস্তায় জলও দিতে হবে। নিত্যযাত্রী বাপি বর্মনের অভিযোগ, কালভার্টটি জনবহুল এলাকায় অবস্হিত। পাশে বাজার, রেলস্টেশন, স্বাহ্যকেন্দ্র, স্কুল ইত্যাদি রয়েছে। ফলে দিনের ব্যস্ত সময়গুলিতে প্রায়শই যানজট হয়। গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। একই আশঙ্কা প্রকাশ করে আরেক নিত্যযাত্রী রফিক আলমের মন্তব্য, দ্রুত কাজ শেষ হোক। নয়তো রাতবিরেতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

2024-04-28

উদয়ন গুহকে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ২৪ এপ্রিল: কোচবিহারে ভোটের এক সপ্তাহ হয়নি। আর এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গ উয়ন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর কাছে একটি হুমকি চিঠিকে এসেছে বলে খবর। যা নিয়ে চাঞ্চল্য জেলার রাজনৈতিক মহলে। কেএলও সংগঠনের তরফে এই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে হুমকি চিঠি দিয়েছে কেএলও-র। ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা চেয়ে বুধবার সকালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ওই হুমকি চিঠি দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে। হুমকি চিঠির এই ঘটনায় কোচবিহারের রাজনৈতিক ও পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিন তিনি জানান, সকালে হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি এসেছে। আমি টাকা দিচ্ছি না। আমি ভয়ও পাচ্ছি না। তবে পুলিশ তদন্ত করলেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, গত ১৯৯৩ সাল থেকে তারা এই যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন। তাদের সহযোগিতা করার জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে। তবে মন্ত্রী উদয়ন গুহকে এই হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

2024-04-24

দিনহাটা

অবৈধভাবে দেশী মদ বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করলো দিনহাটা থানার পুলিশ

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৩০ এপ্রিল: অবৈধভাবে দেশি মদ বিক্রি করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম করুন মোহন্ত। দিনহাটা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, এই ব্যক্তি অবৈধভাবে দেশি মদ বিক্রি করছিল। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে বিলেতি মদ ও দেশি মদ উদ্ধার করছে পুলিশ। এবারেও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে বেআইনি দেশি মদ বিক্রেতা করুন মহন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫২ বোতল বেআইনি দেশি মদ। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় বেআইনি মদের বিক্রি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর আগে একাধিকবার অবৈধ বেআইনি মদ খাওয়ার কারণে অনেকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে অবৈধ মদের কারবার ঠেকাতে নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। তারই এক নিদর্শন দেখা গেল দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অতর্কিত হানায় ওই বেআইনি মদ বিক্রেতা হতভম্ব হয়ে যায়। তার ফলেই পুলিশ তাকে বেআইনি দেশি মদের বোতলসহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে। এইভাবে পুলিশের অভিযান চলতে থাকলে জেলায় বেআইনি মদের কারবার অনেকটাই বন্ধ হবে বলে সাধারন মানুষের আশা।

আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজনকে গ্রেফতার দিনহাটা থানার পুলিশের

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৩০ এপ্রিল: আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজনকে গ্রেফতার করলো দিনহাটা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে রাজাখোড়া এলাকা থেকে অর্জুন মন্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করে দিনহাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন অভিযান চালিয়ে রাজাখোড়া এলাকার বাসিন্দা অর্জুন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে একটি ইম্প্রোভাইজড রিভলভার ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, ধৃত ওই ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে আরো একাধিক মামলায় জড়িত রয়েছে। মঙ্গলবার তাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে।

আটকে কালভার্টের কাজ নাজেহাল বামনহাটের বাসিন্দারা

Sunday : উত্তরের হাওয়া, দিনহাটা, ২৮ এপ্রিল: সদ্য তৈরী করা কাঠের আসবাব পত্রে জল ঢেলে পরিষ্কার করছিলেন বছর চল্লিশের জোৎস্না মোদক। কারন জিজ্ঞাসা তাঁর ঝাঁঝালো উত্তর, “ধুলোয় জীবন অতিষ্ঠ। নিজেদের সর্দিকাশ তো লেগেই আছে। তার উপর যেদিন থেকে কালভার্টের কাজ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই দোকানে বানানো আসবাবপত্রেও ধুলোর আস্তরন পড়ে যাচ্ছে। সেগুলো জল দিয়ে পরিষ্কার না করলে বিক্রিই হচ্ছেনা। দ্রুত কালভার্টের কাজ শেষ করা হোক।” শুধু চল্লিশোর্ধ এই আসবাবপত্রের দোকানি নন, কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২ ব্লকের বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাহ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতেই নির্মীয়মান কালভার্ট নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তির সুর ধরা পড়ল স্হানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, নিত্যযাত্রী ও গাড়ির চালকদের গলায়। স্হানীয় এলাকায় খোঁজ নিতেই জানা গেল, মাস তিনেক আগে সাহেবগঞ্জ থেকে বামনহাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা সম্প্রসারনের কাজ হাতে নিয়েছে পূর্ত(সড়ক) দপ্তর। রাস্তা সম্প্রসারনের কাজের অংশ হিসেবেই বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় একটি কালভার্টের কাজও শুরু হয়। অভিযোগ, রাস্তার এক দিক বন্ধ করে কালভার্টের একটি অংশের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। অথচ প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কালভার্টের অপর অংশের কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সরু অংশ দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীদের। এতে ব্যস্ত সময়ে যানজট হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যদিন ধুলোর ঝড় সইতে হচ্ছে স্হানীয়দের। এমন পরিস্হিতিতে দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক করার দাবী উঠছে। যদিও সংশ্লিষ্ট রাস্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সুজয় হেমব্রমের দাবী, জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় বিষয়টি আটকে রয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। দিনহাটা মহকুমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সাহেবগঞ্জ-বামনহাট সড়ক। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই সড়ক মহকুমার সাহেবগঞ্জ ও দিনহাটার সাথে সীমান্তের চৌধুরিহাট, বামনহাট ২ সহ বিস্তির্ন এলাকার সংযোগ মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ন। এমনকি সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি এতে জড়িত। রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবী দীর্ঘদিনের। ভোটের আগে প্রায় ৬ কিমি দীর্ঘ রাস্তাটির সম্প্রসারনের জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পূর্ত দপ্তর। সেই কাজও চলছে জোরকদমে। সেই কাজের অংশ হিসেবেই তৈরী হচ্ছে কালভার্টটি। স্বভাবতই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবস্হিত কালভার্টটির কাজ শেষ না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। স্হানীয় বাসিন্দা প্রভাত সেনের অভিযোগ, ধুলোর চোটে রাস্তায় বেরোনো যাচ্ছেনা। ঘরের দরজা জানালাও বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করা হোক। ধুলো নিয়ন্ত্রনে রাস্তায় জলও দিতে হবে। নিত্যযাত্রী বাপি বর্মনের অভিযোগ, কালভার্টটি জনবহুল এলাকায় অবস্হিত। পাশে বাজার, রেলস্টেশন, স্বাহ্যকেন্দ্র, স্কুল ইত্যাদি রয়েছে। ফলে দিনের ব্যস্ত সময়গুলিতে প্রায়শই যানজট হয়। গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। একই আশঙ্কা প্রকাশ করে আরেক নিত্যযাত্রী রফিক আলমের মন্তব্য, দ্রুত কাজ শেষ হোক। নয়তো রাতবিরেতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

উদয়ন গুহকে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ২৪ এপ্রিল: কোচবিহারে ভোটের এক সপ্তাহ হয়নি। আর এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গ উয়ন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর কাছে একটি হুমকি চিঠিকে এসেছে বলে খবর। যা নিয়ে চাঞ্চল্য জেলার রাজনৈতিক মহলে। কেএলও সংগঠনের তরফে এই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে হুমকি চিঠি দিয়েছে কেএলও-র। ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা চেয়ে বুধবার সকালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ওই হুমকি চিঠি দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে। হুমকি চিঠির এই ঘটনায় কোচবিহারের রাজনৈতিক ও পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিন তিনি জানান, সকালে হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি এসেছে। আমি টাকা দিচ্ছি না। আমি ভয়ও পাচ্ছি না। তবে পুলিশ তদন্ত করলেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, গত ১৯৯৩ সাল থেকে তারা এই যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন। তাদের সহযোগিতা করার জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে। তবে মন্ত্রী উদয়ন গুহকে এই হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কোচবিহার

উদয়ন গুহকে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ২৪ এপ্রিল: কোচবিহারে ভোটের এক সপ্তাহ হয়নি। আর এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গ উয়ন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর কাছে একটি হুমকি চিঠিকে এসেছে বলে খবর। যা নিয়ে চাঞ্চল্য জেলার রাজনৈতিক মহলে। কেএলও সংগঠনের তরফে এই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে হুমকি চিঠি দিয়েছে কেএলও-র। ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা চেয়ে বুধবার সকালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ওই হুমকি চিঠি দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে। হুমকি চিঠির এই ঘটনায় কোচবিহারের রাজনৈতিক ও পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিন তিনি জানান, সকালে হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি এসেছে। আমি টাকা দিচ্ছি না। আমি ভয়ও পাচ্ছি না। তবে পুলিশ তদন্ত করলেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, গত ১৯৯৩ সাল থেকে তারা এই যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন। তাদের সহযোগিতা করার জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে। তবে মন্ত্রী উদয়ন গুহকে এই হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই তিনটি বাড়ির ছয়টি ঘর সহ আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২৩ এপ্রিল: মঙ্গলবার দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহার ১নং ব্লকের অন্তর্গত মোয়ামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়নাগুড়ি সিঙ্গিজানি এলাকায়। স্হানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় আনোয়ার হোসেন, মতিয়ার হোসেন ও আমিনুর হোসেনের বাড়িতে আগুন ধরে যায়। ভয়াবহ আগুনে আগুনে ছয়টি ঘর আসবাবপত্র ও বিভিন্ন সামগ্রী। আগুনে পুড়ে যায় পরে নিশিগঞ্জ থেকে দমকল বাহিনী এসে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঠিক কি কারনে আগুন লাগলো এখনো সে বিষয়ে সঠিক কারণ জানা যায়নি। ঘটনায় চঞ্চল্য ছড়ায় সমগ্র এলাকায়।

কোচবিহারে যাবেন না বোসকে অনুরোধ নির্বাচন কমিশনের

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৭এপ্রিল: উত্তরবঙ্গে নির্বাচন চলার সময় রাজ্যপালকে সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন রাজ্যের রাজ্যপাল যদি নির্বাচনক্ষেত্রে উপস্থিত থাকেন, তবে তা ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রথম দফার নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন লোকসভা কেন্দ্র-জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, ভোট চলাকালীন তিনি নিজে কোচবিহারে থাকবেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন এলাকার পরিস্থিতি। তবে কমিশন জানিয়ে দিল ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি এর ফলে লঙ্ঘিত হবে।

উদয়নকে গৃহবন্দী রাখার আর্জি নিশীথের

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, দিনহাটা, ১৭ এপ্রিল: শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট করতে ভোটের দিন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে গৃহবন্দী রাখার দাবী তুললেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক । নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে নিশীথ লিখেছেন, ‘আপনারা জানেন যে উদয়ন গুহই যাবতীয় গুন্ডামির মূল। নির্বাচনি আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের অনুমতিক্রমে করা র‌্যালিতেই আমাকে দু’বার আক্রমণ করেছেন।’ পাশাপাশি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর অশান্তির প্রসঙ্গ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে উদয়নকে শান্তির পক্ষে ক্ষতিকারক বলে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, উদয়ন গুহর নেতৃত্বে বারবার কোচবিহারে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। ভোটের দিনও একইরকমভাবে সন্ত্রাস হতে পারে। উদয়ন গুহ যাতে তাঁর বুথের বাইরে বের হতে না পারেন তা দেখুক কমিশন । তাঁর সংযোজন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার বিগত দিনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। এতে কর্মীরা প্ররোচিত হয়ে গন্ডগোল করতে পারে। গত ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর যে পোস্ট পোল ভায়োলেন্স হয়েছিল তাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে দুষ্কৃতীদের নাম উল্লেখ করেছিল তাতে উদয়ন গুহর নাম ছিল। তাই শান্তিতে ভোট করানোর লক্ষ্যে ভোটের দিন তাঁর বুথের মধ্যে তাঁকে রাখা হোক। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী সাংবাদিক বৈঠক করে একধাপ এগিয়ে উদয়ন গুহকে গৃহবন্দি করার দাবি জানিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন উদয়ন। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মানুষের পাশে থেকে সবসময় কাজ করেন বলে জানান উদয়ন। মানুষও তাঁকে চায়। তাই ভয় পেয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষের অধিকার মানুষই বুঝে নেবেন। আমি ঘরে বসে থাকলেও মানুষ যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে নিয়েছে।

রাজ্য

উদয়ন গুহকে পাঁচ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ২৪ এপ্রিল: কোচবিহারে ভোটের এক সপ্তাহ হয়নি। আর এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গ উয়ন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর কাছে একটি হুমকি চিঠিকে এসেছে বলে খবর। যা নিয়ে চাঞ্চল্য জেলার রাজনৈতিক মহলে। কেএলও সংগঠনের তরফে এই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে হুমকি চিঠি দিয়েছে কেএলও-র। ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা চেয়ে বুধবার সকালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ওই হুমকি চিঠি দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে। হুমকি চিঠির এই ঘটনায় কোচবিহারের রাজনৈতিক ও পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিন তিনি জানান, সকালে হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি এসেছে। আমি টাকা দিচ্ছি না। আমি ভয়ও পাচ্ছি না। তবে পুলিশ তদন্ত করলেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, গত ১৯৯৩ সাল থেকে তারা এই যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন। তাদের সহযোগিতা করার জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে। তবে মন্ত্রী উদয়ন গুহকে এই হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

ভোট পরবর্তী হিংসায় ফের শিরোনামে দিনহাটা

Saturday : উত্তরের হাওয়া দিনহাটা, ২০ এপ্রিল: ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজনৈতিক হিংসায় ফের নাম জড়াল দিনহাটা বিধানসভার। শুক্রবার রাতে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার কিশামতদশগ্রামের টিয়াদহে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী সুকুমার মালির বাড়িতে ভাঙচুর ও ওই তৃণমূল কর্মীর বাবা নিবারন মালির দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী হেমতি মালির অভিযোগ, গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ বাড়িতে নাবালক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ছিলাম। স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সেসময় বাড়ির টিনের চালে ক্রমাগত শিল ছোড়া হয়। ভয় পেয়ে পাশেই আত্মীয় বাড়িতে যাই। সেসময়ই বিজেপির লোকেরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শ্বশুর মশাই এগিয়ে আসতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার সংযোজন, ঘরে থাকা সোনার গয়না ও টাকাও লুঠপাট হয়েছে। বাজনা বাজিয়ে সংসার চলে। সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করার খেসারত দিতে হল। তৃণমূলের কিশামতদশগ্রাম অঞ্চল সভাপতি জগদীশচন্দ্র রায়ের মন্তব্য, বিজেপি ওখানে হারবে বলেই সক্রিয় ওই কর্মীকে টার্গেট করা হয়েছে। আমাদের দলীয় নেতৃত্বও এলাকায় যাবেন। যদিও বিজেপি নেতারা হিংসার ক্ষেত্রে বিজেপির যোগ অস্বীকার করেছেন ও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা দাবী করেছেন। এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় গতকাল রাত থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ঘটনাস্হলে পৌছে পরিস্হিতি খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এরপর শনিবার আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।

কোচবিহারে যাবেন না বোসকে অনুরোধ নির্বাচন কমিশনের

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৭এপ্রিল: উত্তরবঙ্গে নির্বাচন চলার সময় রাজ্যপালকে সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন রাজ্যের রাজ্যপাল যদি নির্বাচনক্ষেত্রে উপস্থিত থাকেন, তবে তা ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রথম দফার নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন লোকসভা কেন্দ্র-জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, ভোট চলাকালীন তিনি নিজে কোচবিহারে থাকবেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন এলাকার পরিস্থিতি। তবে কমিশন জানিয়ে দিল ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি এর ফলে লঙ্ঘিত হবে।

উদয়নকে গৃহবন্দী রাখার আর্জি নিশীথের

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, দিনহাটা, ১৭ এপ্রিল: শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট করতে ভোটের দিন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে গৃহবন্দী রাখার দাবী তুললেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক । নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে নিশীথ লিখেছেন, ‘আপনারা জানেন যে উদয়ন গুহই যাবতীয় গুন্ডামির মূল। নির্বাচনি আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের অনুমতিক্রমে করা র‌্যালিতেই আমাকে দু’বার আক্রমণ করেছেন।’ পাশাপাশি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর অশান্তির প্রসঙ্গ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে উদয়নকে শান্তির পক্ষে ক্ষতিকারক বলে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, উদয়ন গুহর নেতৃত্বে বারবার কোচবিহারে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। ভোটের দিনও একইরকমভাবে সন্ত্রাস হতে পারে। উদয়ন গুহ যাতে তাঁর বুথের বাইরে বের হতে না পারেন তা দেখুক কমিশন । তাঁর সংযোজন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার বিগত দিনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। এতে কর্মীরা প্ররোচিত হয়ে গন্ডগোল করতে পারে। গত ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর যে পোস্ট পোল ভায়োলেন্স হয়েছিল তাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে দুষ্কৃতীদের নাম উল্লেখ করেছিল তাতে উদয়ন গুহর নাম ছিল। তাই শান্তিতে ভোট করানোর লক্ষ্যে ভোটের দিন তাঁর বুথের মধ্যে তাঁকে রাখা হোক। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী সাংবাদিক বৈঠক করে একধাপ এগিয়ে উদয়ন গুহকে গৃহবন্দি করার দাবি জানিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন উদয়ন। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মানুষের পাশে থেকে সবসময় কাজ করেন বলে জানান উদয়ন। মানুষও তাঁকে চায়। তাই ভয় পেয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষের অধিকার মানুষই বুঝে নেবেন। আমি ঘরে বসে থাকলেও মানুষ যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে নিয়েছে।

প্রচার থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের গাড়ি

Saturday : উত্তরের হাওয়া, ৬ মার্চ: প্রচার থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে দমদমের বিদায়ী সাংসদ সৌগত রায়ের গাড়ি। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর গাড়িতে একটি ম্যাটাডর এসে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। পিছন থেকে গাড়িটিতে ধাক্কা মারা হয়। সে সময় ভিতরে বসেছিলেন সৌগত রায়। অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে তিনি রেহাই পান বলে খবর। ম্যাটাডরটিকে আটক করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। শনিবার সোদপুরের এইচবি টাউনের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। আজকের প্রচার থেকে ফেরার সময়ই সৌগত রায়ের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি নিছক দুর্ঘটনা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর অন্য একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে বেরোন সৌগত রায়।

দেশ

এডিজি বিএসএফ গুয়াহাটি সীমান্তের অধীনে কোচবিহার আন্তর্জাতিক সীমান্তের অপারেশনাল প্রস্তুতির পর্যালোচনা

Friday : উত্তরের হাওয়া, ২৯ মার্চঃ শ্রী রবি গান্ধী, ADG, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের বিএসএফ গোপালপুর সেক্টর কোচবিহার সফরের সময়, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিএসএফ-এর অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন আজ। এডিজি বিএসএফ সেক্টর হেড কোয়ার্টার বিএসএফ গোপালপুর পরিদর্শন করেন যেখানে তাকে এলাকার বর্তমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তিনি বিএসএফ-এর গোপালপুর ও কোচবিহার সেক্টরের দায়িত্বের এলাকায় বিদ্যমান নদীপথ এবং বেড়িবিহীন সীমান্তের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন। শ্রী রবি গান্ধী, ADG সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন মোতায়েন করা বর্ডারম্যানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সীমানা রক্ষায় তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং তাদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন।

গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

Thursday : উত্তরের হাওয়া, ২১মার্চ: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মদ নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির রাজনীতিতে এই ঘটনা ঘটল। আর স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। সূত্রের খবর আজ সন্ধে ৬টা নাগাদ কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। তারপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা শুরু করে তাঁরা। কেজরিওয়ালকে বারবার হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যেতে চাইছিল ইডি। কিন্তু তাতে রাজি হননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে খবর পেয়েই কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে ভিড় করতে শুরু করেন আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকরা। ২ ঘণ্টা কেজরিওয়ালকে জেরা করার পরেই তাকে গ্রেফতার করে ইডি।

ফিলিস্তিনের সমর্থনে কোচবিহারে ঐতিহাসিক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল

Friday : উত্তরের হাওয়া, ১৮ নভেম্বর: ফিলিস্তিনের নিপিড়িত মানুষের পক্ষে ও দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইজরায়েল যেভাবে অনবরত ফিলিস্তিনের উপর হামলা চালাচ্ছে ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে কোচবিহারে এক ঐতিহাসিক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনের বন্ধুকামী মানুষ হিসেবে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে শান্তিকামী মানুষদের উপস্থিতি জন প্লাবন তৈরি করে। উক্ত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চ তথা নিপ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির হোসেন, নিপ্রমের গঠনতন্ত্রের রচিয়তা কাউসার আলম ব্যাপারী, রাজনীতি বিদ সম্রাট হক, ও আব্বাস আলী। নিপ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির হোসেন বলেন _" আমরা অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাই ও ইজরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক। ও আমেরিকা ও ব্রিটিশদের মদত পুষ্ট ইজরায়েল নিপাত যাক। ও আমাদের দেশের সরকার অবিলম্বে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াক।

রাজ্যে ফের ভূমিকম্প। কেঁপে উঠল আলিপুরদুয়ার

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ৮ নভেম্ভর: রাজ্যে আবারও ভূমিকম্প (Earthquake)! এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা। বুধবার সকাল ১০:৫১ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, রিখটার স্কেলে (Richter Scale) কম্পনের মাত্রা ৩.৬। শিলিগুড়িতেও (Siliguri) কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে খবর। আলিপুরদুয়ার ছাড়াও অসমেও (Assam) ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ওই রাজ্যের হাইলাকান্দিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে এদিন সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে ৪.১ মাত্রার একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লি-সহ পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেই সময় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের উত্‍স স্থল ছিল নেপাল। যেটি লখনউ থেকে ২৫৩ কিলোমিটার দূরে এবং কলকাতা থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দূরে। সেই ভূমিকম্পে নেপালে (Nepal Earthquake) ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়। মৃত্যু হয় দেড়শো জনেরও বেশি লোকের। প্রচুর ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। আর তার ঠিক চার দিনের মাথায় আবারও কেঁপে উঠল পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার ভূমিকম্প অনুভূত হতেই আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। বারবার এই ধরনের ভূমিকম্পে রীতিমতো শঙ্কিত সকলেই। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভারতে আগামী দিনে ভয়ানক ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, হিমালয়ের (Himalaya) নীচে ভূকম্পন বলয় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার জেরে ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। টেকটনিক প্লেটদের সংসারে লাগাতার অশান্তির কারণে দিল্লি বা উত্তর-পশ্চিম ভারত শুধু নয়, গোটা দেশেই ভয়ানক ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্ব

খেলা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ২জানুয়ারি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান দিনহাটা শহরে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সূচনা হলো। মঙ্গলবার শহরের পাইওনিয়ার ক্লাব প্রাঙ্গনে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজে সূচনা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পাশাপাশি বয়েজ ক্লাব এলাকা থেকে চড়ক মেলা মাঠ পর্যন্ত হাইড্রেন তৈরির কাজের সূচনাও হয় এদিন। জানা গেছে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৯৬ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই দুটি প্রকল্প উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায়। এদিনের অনুষ্ঠানে সেখানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ ভট্টাচার্য, দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর মাহেশ্বরী, ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী, পাইওয়নিয়ার ক্লাবের সভাপতি ডঃ অমল বসাক সহ আরো অন্যান্যরা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, ছয় মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম। খেলাধুলার বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা মিলবে সেখানে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এই মিনি স্টেডিয়াম পুরোপুরি ভাবে তৈরি করে দিলেও দেখভালের দায়িত্বে থাকবে ক্লাব কতৃপক্ষের এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। বলা বাহুল্য, ১৯৮৮ সালে দিনহাটা শহর সংলগ্ন পুঁটিমারিতে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ৬ একর জমি কেনা হয়। তখন রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার। রাজ্যের যুব কল্যাণ দফতরের দেওয়া আর্থিক বরাদ্দে ওই জমি কেনা হয়। সরকারি নিয়ম মেনেই মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা এবং দিনহাটা–১ পঞ্চায়েত সমিতির মালিকাধীন বলে জমির ‘দলিল’ তৈরি হয়।তারপর প্রায় ৩৪ বছরেরও বেশি সময়কেটে গিয়েছে। সীমানা পাঁচিল ছাড়া স্টেডিয়াম তৈরির কিছুই হয়নি। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হলেও কেউই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আদৌ কি সেই স্টেডিয়াম তৈরি হবে সেই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে ঠিক তখনই দিনহাটা শহরের বুকে মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কাজের সূচনা হলো এদিন। পুটিমারি সংলগ্ন এলাকায় সেই স্টেডিয়ামের বিষয় নিয়ে এদিন মন্ত্রী উদয়ন গুহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্টেডিয়াম আর মিনি স্টেডিয়ামের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। সে সময় যারা সেখানে স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা করেছিলেন সেই সময় হয়তো পরিকল্পনার খানিকটা খামতি ছিল। সেখানে গাড়ি পার্কিং, অ্যাপ্রোচ, প্রবেশ পথের কোনরকম চিন্তাভাবনা হয়নি। সব মিলিয়ে একটা ঘাটতি থেকে গেছে। তবে মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরি ক্ষেত্রে সব কিছু ব্যবস্থায় থাকছে বলেও তিনি জানান। স্বাভাবিকভাবেই মিনি ইনডোর স্টেডিয়াম দিনহাটায় তৈরি হচ্ছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া এবং ক্রীড়া প্রেমীরা অত্যন্ত খুশি এমনটাই জানা গেছে।

তানিয়াকে সম্বর্ধনা দিল কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন

Tuesday : উত্তরের হাওয়া, ৪জুলাই: কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধিত করা হয় ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্যা কুমারী তানিয়া কামতি কে। উল্লেখ্য দিনহাটার মেয়ে তানিয়া কামতি একজন অতি সাধারণ ট্যাক্সি ড্রাইভার এর মেয়ে। নিজের অধ্যবসায় ও সাধনার ফলে আজকে সে জাতীয় ফুটবল দলে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত সাফ কেমসে ভারতীয় মহিলা ফুটবল এর হয়ে অংশ নিয়েছিল তানিয়া কামতি। এই আন্তর্জাতিক স্তরের খেলায় তানিয়ার পারফরম্যান্স দিনহাটা কোচবিহার এমনকি পশ্চিমবাংলা তথা ভারতের মান উঁচু করে। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কোচবিহারের স্টেডিয়াম সংলগ্ন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সভাকক্ষে তাকে ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়। এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত দত্ত। সহ-সভাপতি অমলেশ সরকার, সহ-সভাপতি তপন ঘোষ এবং সহ-সভাপতি অশোক হাজরা।

রাজনীতি

ভোট পরবর্তী হিংসায় ফের শিরোনামে দিনহাটা

Saturday : উত্তরের হাওয়া দিনহাটা, ২০ এপ্রিল: ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজনৈতিক হিংসায় ফের নাম জড়াল দিনহাটা বিধানসভার। শুক্রবার রাতে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার কিশামতদশগ্রামের টিয়াদহে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী সুকুমার মালির বাড়িতে ভাঙচুর ও ওই তৃণমূল কর্মীর বাবা নিবারন মালির দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী হেমতি মালির অভিযোগ, গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ বাড়িতে নাবালক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ছিলাম। স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সেসময় বাড়ির টিনের চালে ক্রমাগত শিল ছোড়া হয়। ভয় পেয়ে পাশেই আত্মীয় বাড়িতে যাই। সেসময়ই বিজেপির লোকেরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শ্বশুর মশাই এগিয়ে আসতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার সংযোজন, ঘরে থাকা সোনার গয়না ও টাকাও লুঠপাট হয়েছে। বাজনা বাজিয়ে সংসার চলে। সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করার খেসারত দিতে হল। তৃণমূলের কিশামতদশগ্রাম অঞ্চল সভাপতি জগদীশচন্দ্র রায়ের মন্তব্য, বিজেপি ওখানে হারবে বলেই সক্রিয় ওই কর্মীকে টার্গেট করা হয়েছে। আমাদের দলীয় নেতৃত্বও এলাকায় যাবেন। যদিও বিজেপি নেতারা হিংসার ক্ষেত্রে বিজেপির যোগ অস্বীকার করেছেন ও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা দাবী করেছেন। এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় গতকাল রাত থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ঘটনাস্হলে পৌছে পরিস্হিতি খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এরপর শনিবার আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।

কোচবিহারে যাবেন না বোসকে অনুরোধ নির্বাচন কমিশনের

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, ১৭এপ্রিল: উত্তরবঙ্গে নির্বাচন চলার সময় রাজ্যপালকে সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন রাজ্যের রাজ্যপাল যদি নির্বাচনক্ষেত্রে উপস্থিত থাকেন, তবে তা ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রথম দফার নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন লোকসভা কেন্দ্র-জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, ভোট চলাকালীন তিনি নিজে কোচবিহারে থাকবেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন এলাকার পরিস্থিতি। তবে কমিশন জানিয়ে দিল ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি এর ফলে লঙ্ঘিত হবে।

উদয়নকে গৃহবন্দী রাখার আর্জি নিশীথের

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, দিনহাটা, ১৭ এপ্রিল: শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট করতে ভোটের দিন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে গৃহবন্দী রাখার দাবী তুললেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক । নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে নিশীথ লিখেছেন, ‘আপনারা জানেন যে উদয়ন গুহই যাবতীয় গুন্ডামির মূল। নির্বাচনি আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের অনুমতিক্রমে করা র‌্যালিতেই আমাকে দু’বার আক্রমণ করেছেন।’ পাশাপাশি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর অশান্তির প্রসঙ্গ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে উদয়নকে শান্তির পক্ষে ক্ষতিকারক বলে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, উদয়ন গুহর নেতৃত্বে বারবার কোচবিহারে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। ভোটের দিনও একইরকমভাবে সন্ত্রাস হতে পারে। উদয়ন গুহ যাতে তাঁর বুথের বাইরে বের হতে না পারেন তা দেখুক কমিশন । তাঁর সংযোজন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার বিগত দিনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। এতে কর্মীরা প্ররোচিত হয়ে গন্ডগোল করতে পারে। গত ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর যে পোস্ট পোল ভায়োলেন্স হয়েছিল তাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে দুষ্কৃতীদের নাম উল্লেখ করেছিল তাতে উদয়ন গুহর নাম ছিল। তাই শান্তিতে ভোট করানোর লক্ষ্যে ভোটের দিন তাঁর বুথের মধ্যে তাঁকে রাখা হোক। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী সাংবাদিক বৈঠক করে একধাপ এগিয়ে উদয়ন গুহকে গৃহবন্দি করার দাবি জানিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন উদয়ন। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মানুষের পাশে থেকে সবসময় কাজ করেন বলে জানান উদয়ন। মানুষও তাঁকে চায়। তাই ভয় পেয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষের অধিকার মানুষই বুঝে নেবেন। আমি ঘরে বসে থাকলেও মানুষ যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে নিয়েছে।

জগদীশের প্রার্থী পদ বাতিলের আর্জি বিজেপির

Wednesday : উত্তরের হাওয়া, কোচবিহার, ১৭ এপ্রিল: নির্বাচন কমিশনে জমা করা হলফনামায় স্ত্রীকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন কোচবিহার লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনীয়া। তাই তার মনোনয়ন বাতিল করা হোক। এমনই দাবী জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা কোচবিহার জেলা সম্পাদক জেলা অজয় রায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী । বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রীর নাম শুকতারা বর্মা বসুনিয়া। অন্যদিকে, সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী সংগীতা রায় বসুনিয়া তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন যে, তাঁর স্বামী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। স্বভাবতই তৃণমূল প্রার্থীর দেওয়া তথ্য ভুল রয়েছে বলে দাবী তৃণমূলের । তাই তার মনোনয়ন বাতিলের দাবী তুলেছেন তারা। পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিকের মন্তব্য, মনোনয়ন জমা পড়েছে প্রায় ১৫ দিন আগে, এতদিন কি বিজেপি নেতারা চোখ বন্ধ করেছিলেন? অভিযোগ করার হলে তখন করেননি কেন? নিজেদের পায়ের তলার মাটি নেই তাই উল্টোপাল্টা দাবি করছে।

রাশিফল

লাইফস্টাইল




Follow us on                  

About Us
uttorerhawa, a pioneering digital platform, is revolutionizing the way citizens access news, information, and services.
Contact Us
Address : Dinhata, Cooch Behar
Call : 7076088024
WhatsApp : 7076088024
Email : uttorerhawa1985@gmail.com
Important Link
  • Disclaimer
  • Privacy Policy

  • Total Visitor : 236370